চিলেকোঠা ওয়েবজিনে প্রকাশিত সাহিত্যকর্ম ও অন্যান্য

ফোকাস অন হুমায়ূন আহমেদের গদ্যের কলকব্জা ও কিয়দংশ



ফোকাস অন হুমায়ূন আহমেদের গদ্যের কলকব্জা ও কিয়দংশ
মিলু হাসান

হুমায়ূন আহমেদ যত বড় না কথাসাহিত্যিক তাঁর চে বড় তিনি ম্যাজিশিয়ান। পাঠকে ম্যাজিশিয়ানের মতো একেবারে শেষ পেইজ ধরে রাখা চুম্বকের মতো, চমকিয়ে দেয়া,  একটা টান টান উত্তেজনা তৈয়ার করার ক্ষমতা,মানবিক আবেগের সাথে একীভূত করার ক্ষমতা, রস তৈয়ার ক্ষমতা.......... ম্যাজিশিয়ানের ম্যাজিক দেখানির প্রক্রিয়াটার কথাটা ভাবুন। দেখবেন মিলে গেছে। কিন্তু ম্যাজিশিয়ানের ম্যাজিকের কারণে তারে ম্যাজিশিয়ান বলে থাকে কিন্তু ম্যাজিক মানেই তো ভেলকি কিংবা চোখ ফাঁকি। এ ভেলকির রহস্য বুঝে ফেললে ম্যাজিশিয়ানকে আমপাবলিক মনে হইতে থাকে, এর বেশি কিছু না। তা সস্তা মনে হইতে থাকে। অবাক ও মুগ্ধতা ক্রমশ হ্রাস পাইতে থাকে। কিন্তু ম্যাজিকের রহস্য আমপাবলিক কখনো ভেদ করতে পারে না, পারলে সে আর ম্যাজিক দেখতো না। হুমায়ূন আহমেদ থেকে বাঘা বাঘা বড় কথাসাহিত্যিক বাঙলা সাহিত্যে এসেছে তাদের নিয়ে যে আলোচনাই হয় না তেমন তাঁরে নিয়ে যে এতো আলোচনা হয় তাঁর কারণ তাঁর বিশাল ভোক্তাকুল। 

ক্রিটিক করার জন্যে যার ক্রিটিক করবেন তার সমান হওয়ার আলাপ যারা করে তারা নাবালেগ, অন্তত মস্তিষ্কে।  ক্রিটিক মানে বিশাল জনগোষ্ঠীর মনে যে ধারণার অবতীর্ণ হয় তা হচ্ছে নিন্দা উৎপন্ন, ব্যক্তি আক্রমণ, রোষ-ক্ষোভ ঝাড়া, আশু ফয়দার নিমিত্তে ড্রামা তৈয়ারের বকওয়াজ। এ বাজে ধারণা আমাদের তৈরি। ক্রিটিক মানে  নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুর উপর ইন্টেলেকচুয়ালের অবজারবেশনের পর প্রতিক্রিয়া। প্রতিক্রিয়া ভালো-মন্দ ও শুধু মন্দও হতে পারে। শুধু মন্দের কারণ এই যে মলের প্রশংসা করলে তো হলুদ গু, কালা গু...... কইতে হতে পারে তার চে বরঙ মন্দ বলাই উত্তম। উন্নত ক্রিটিক বৃদ্ধি পাইলে উন্নত আর্ট ও লিটারেচার তৈয়ারের সম্ভবনা উন্মোচিত হইতে থাকে। ক্রিটিকের নামে অ-ক্রিটিক মানে প্রশংসার বিষ্টি বর্ষণ, নিন্দার ঝড় হার্মফুল ফর আর্ট এন্ড লিটারেচার। তবে কেউ যদি  ইললজিক্যাল পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে লাপাত্তা ভাবে ডিসক্রাইব করে যে এটা অমুক তমুক এরম হইছে তা ক্রিটিক হবে না। শুধু মন্দ বলতে পারা ক্রিটিকের ক্ষেত্রে কঠিন কাজ, কারণ লজিক্যালি মন্দ কেন তা বলা খুব কঠিন কাজ। চায়ের দোকান, ঘরোয়া আড্ডা, পরস্পর পিঠ চাপাড়ানো বাহ্ বাহ্ লোকদিগ, উৎসবের আর্টিস্টের মাইক, ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা আড্ডার গপসপের ক্রিটিক ক্রিটিকের ধর্তব্যে পড়ে না, লিখিত ক্রিটিকই ক্রিটিক। ওসবে সহজেই একজনকে পীরসাহেব জিন্দাওলি কিংবা তুড়ি দিয়ে খারিজ করা যায়। বাস্তবে ক্রিটিকে কেন প্রশংসা বা বাজে হইছে সেসব ডেসক্রাইব করে বলা কঠিন। সেটাই ক্রিটিক কঠিনটা। হুমায়ূনকে পাঠককুল আসমানে তুলেছেন আর কেউ সিদরাতুল মুনতাহা মানে সাত জমিনের নিচে গেড়ে রেখেছেন। এতে তাঁর ক্রিটিক আসলে হয় নি। 

হুমায়ূন আহমেদের গদ্য সাদামাটা সহজ-সরল মনে হইলেও অনেকে মনে করতে পারে ভিতরে তেমন কিছুই না। আসলে তেমন ধারণা জঘন্য ভ্রান্ত। অনেকেই সাদামাটা সহজ সরল গদ্য তৈয়ার করছে কিন্তু তা হুমায়ূনের সবচে বাজে গদ্যের কাছেও যাচ্ছে না। পাঠকে লেখক যদি নিজের আবেগের সহিত একীভূত করতে চায় তাকে অবশ্যই মানবিক গুণাবলির স্পর্শ থাকতে থাকতে তার লেখার পরতে পরতে। হুমায়ূনের গদ্য তা ছিলো। এবং অনেকে যে জনপ্রিয় তার পিছনকার রহস্য এটাই।

হুমায়ূনের গদ্যে পরিমিত ভাব সুস্পষ্ট। বেহুদা বর্ণনা করার কারিশমা থেকে বের হয়ে হুমায়ূন সরাসরি মূল জায়গায় চলে যেতেন। শীর্ষেন্দু এ গদ্যকে বলেছেন স্মার্ট ও চর্বিমুক্ত। কাব্যিকতার ভারি কারিশমা থেকেও তাঁর গদ্য মুক্ত। তিনি ডাইরেক্ট এমনকি প্রথম লাইনেই গল্পের ভিতর ঢুকে যান কোনো ভণিতা ছাড়াই।ফর এক্সামপল: 'আজখার খাঁ ঘর থেকে বেরুবেন, শার্ট গায়ে দিয়েছেন, তখনি লিলি বলল, বাবা আজ কিন্তু মনে করে আনবে। ' ['সৌরভ ' ছোট্টগল্প - হুমায়ূন আহমেদ ]   ঘটনার পর ঘটনা চলতে থাকে, যা পাঠকে শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়। অনেকটা চমকের পর চমক। শেষ হলে বেশিরভাগ হাওয়াই মিঠাই মনে হয়, খুব কম মনে হয় ক্ষীরমন। আর মিসির আলী সিরিজ মানে রহস্য উপন্যাস যেমন মাথায় পোক ঢুকিয়ে চলতে থাকে শেষে পোক বের হয় - ও এটা! 

হুমায়ূনের গদ্যে আরেকটা প্রধান দিক এপিগ্রাম। লেখক চরিত্রের বর্ণনা বন্ধ করে দিয়ে নিজের কথা বলতাছে। যারে আপনারা উক্তি হিসেবে ব্যবহার করেন। আমার জানামতে হুমায়ূনের মতো এতো উক্তি তৈয়ার করছে খুব কম সাহিত্যিক, বরঙ তিনিই বেশি। ফর এক্সাপল : 'শুধু শান্ত গলায় বলেছেন, হাতে টাকা নেই। এটা তাঁকে বলতে হলো কেন? [ যে মেয়ে বাবার চোখের দিকে তাকিয়ে তাঁর অভাব বুঝতে পারে না সে কেমন মেয়ে? ] সংগ্রহ :' সৌরভ ' ছোট্টগল্প - হুমায়ূন আহমেদ

হুমায়ূনের গদ্যের একটা বড় কারিশমা সংলাপ। হুমায়ূন একটা সংলাপেও  পুরা চরিত্রটাকে হাজির করতে পারতেন। বাস্তব একটা ঘটনা যেভাবে ঘটে মানে কথা পরম্পরায় তিনি সেভাবে দিতেন, যেন ক্যামেরা ধরে দৃশ্যটা দেখাচ্ছে। মনে হচ্ছে দৃশ্যটা চোখের সামনে ভাসছে। সহজেই কানেক্ট হচ্ছি আমরা।

আজকাল অনেকেই গদ্যে হাস্যরস বা হিউমার তৈয়ারের চেষ্টা করেন ইচ্ছা করে। মানে লেখার পরতে পরতে আপনাআপনি হাস্যরস হচ্ছে না লেখক জোর করে তা তৈয়ার করছে। হুমায়ূন রসিক ছিলেন। লেখায় তার প্রভাব পড়েছে। তিনি জোর না করে সহজাতভাবে গদ্যে হাস্যরস বা হিউমার তৈয়ারের ক্ষমতা ছিলো অসীম। হাস্যরসের মাধ্যমে স্যাটায়ার করতে ও ভুলেন নি তিনি। তবে উনার স্যাটায়ার গতানুগতিক স্যাটায়ার ছিলো না, অনেকটা মৃদু স্যাটায়ার, কোল্ড স্যাটায়ার বলা যাইতে পারে। যা পাঠক নজর না দিলে দেখে না। 

হুমায়ূন তাঁর গদ্যে প্রায়শ এমন চরিত্র, প্লট, কাহিনী নির্মাণ করতেন যা আসলে মানুষ কাউরে বলতে পারে না বরঙ লুকিয়ে রাখে সেসব অনুভূতি, ব্যথা। বিশেষত মধ্যবিত্তের সেসব লুকানো আবেগ-অনুভূতিতে তিনি খোঁচা মেরেছেন। আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে তিনি ছিলেন শৌখিন মানুষ। সে শৌখিনতার প্রভাব গদ্যেও আছে। যে কোনো মানুষ তার খায়েশ-আহ্লাদ-ইচ্ছা-শখ পূরণ করতে চায়। এ সোসাইটিতে বেশিরভাগ মানুষ তা পারে না। সেসব জিনিশ গল্পে দেখলে তার তা ভাবতে ভালোই লাগে। এই যে হিমু চরিত্র যুবক-যুবতীরা পছন্দ করে তার পেছনের কারণ এটাই। কোন যুবক চায় না সারাদিন ঘুরতে, মানুষকে চমকিয়ে দিতে, মানুষের উপকার করতে আর উদ্ভট কাজ করে বেড়াতে আর সাথে একখান প্রেমিকা যে তার জন্য ব্যাকুল। মানে যে করতে পারে না এসব তার পছন্দ হয় বেশি এসব, যখন তা দেখে কোনো শিল্প -সাহিত্যে। সে আবেগ পূরণীয় ক্যারেকটারে সে নিজেকে ভেবে সুখ পায়। 

উনার গদ্য ছিলো গল্পসমৃদ্ধ। নাথিং ঘটনাকে লেখায় এনে তা ফুটিয়ে তোলার চেখভ ক্ষমতাও তার ছিলো। বাস্তবিকে হুমায়ূন মানুষকে চমকিয়ে দিতে পছন্দ করতো। গদ্যেও সে প্রবণতা ছিলো পরতে পরতে। আর মানুষের স্বভাবত চমকিয়ে যেতে ভালো লাগে। অদ্ভূত চরিত্র ও টেনে আনতেন গদ্যের পরতে পরতে। ঘটনার পর ঘটনা তৈয়ার করে টানটান উত্তেজনা তিনি তৈয়ার করতেন। সহজ সরল সাদাসাটা গদ্য হওয়ায় একটানে পরতে বিশেষ বেগ পেতে হতো না।কিন্তু চমকানোর প্রবণতা ক্ষতিকর সাহিত্যের জন্য। লিটারেচারের বড় বড় ক্রিটিকরা মোঁপাসার 'নেকলেস' গল্পে শেষে চমকিয়ে দেয়ার প্রবণতা গল্পটিকে ব্যর্থ করেছে বলে মনে করেন তাঁরা। সৈয়দ হকও তাই মনে করেন।

গদ্যে যেমন গুরুত্বপূর্ণ, গদ্যের কনটেন্টও তেমনি গুরুত্বপূর্ণ। হুমায়ুন আজাদ বলতেন আমাদের লেখকরা বড় লেখক হয়ে উঠতে পারে না কারণ তাঁরা টপ টু বটম লোকসমাজের সাথে তাদের যাপিত জীবন নাই, তাঁরা একটা শ্রেণিতে আটকিয়ে থাকে। ছফা নিজে হুমায়ূনের ঝরঝরে গদ্যের প্রশংসা করলেও হুমায়ূনীয় লিটারেচারের প্রতি তাঁর ক্ষোভ ছিলো প্রচন্ড। নাসির আল মামুনের সাথে ছফা একদিন বললেন হুমায়ূন আমার বুকের উপর দিয়ে হেঁটে গেলো। ওকে বলিও আমি ওকে ভিক্ষা করে টাকা দিবো তার পরও ও যেন এসব লেখা টাকার জন্য না লেখে। হুমায়ূনকে নিয়ে ছফার স্বপ্ন ছিলো। সে স্বপ্ন শেষ পর্যন্ত যেভাবে করছেন তা ততটুক হয় নি। তিনি স্যাটায়ার করতেও ভুলেন নি। ছফা নাসির আল মামুন সাথে একদিন হুমায়ূন আহমেদের সাথে দেখা হলে তিনি বললেন আসতে বলিও তাকে। পরে বললেন হুমায়ূন তো এখন বড় লেখক আমার ছোট্ট রুমে তার জায়গা ধরবে না। এই যে গদ্য আলাদা ও ভালো। তারপরেও এ ক্ষোভ কেন হুমায়ূনের লিটারেচারের প্রতি ছফার বা আসল পাঠককুলের। হিংসা? কখনোই না। একই  কনটেন্ট ও দুর্বল কনটেন্ট বারঙবার বাছাই করে লেখায় এ হাল। নিজেকে বারবার না ভাঙা একই প্যাটার্নে লেখাকে স্থির রাখা। এতে একটা বড় সুবিধা হচ্ছে মধ্যবিত্ত বিশাল আমপাঠক মধ্যবিত্ত কনটেন্টের সাথে সহজেই মিশতে পারে। এতে টাকা আসে। কিন্তু টাকা আসা বা না আসা বা নিষ্পাপ যাপিত জীবন বা বিশৃঙ্খল যাপিত জীবন এসব লেখার জন্য সিলি মেটার। শেষপর্যন্ত তা লেখা হয়ে উঠলো কী না তাই কোশ্চেন! মানে গদ্যে অসীম ক্ষমতা থাকলে উপরিউক্ত কজের কারণে তাঁর লেখা অধিকাংশই গারবেজ মানে ৯৮ ভাগ। অত:পরও উনার কনটেন্টে ভিন্নতা ও গুরুত্বারোপের ফলে কয়েকটা নভেলা ও নভেল হয়ে উঠেছে ভালো। আর উনার ছোট্টগল্প নিঃসন্দেহে ভালো অনেকগুলো।

পাঠককুল যে হুমায়ূনের গদ্যের পাগল ছিলো তার অনেকগুলি কারণে মধ্যে একটি হচ্ছে - কোনোপ্রকার বেগ পেতে হচ্ছে না। সহজ সরল। একটিও অজানা ও অভিধান ঘেঁটে খুঁজে বের করতে হবে এরকম শব্দ নেই। মানে বড়দের জন্য লেখা উপন্যাস ক্লাস টু এর বাচ্চাও গরগর করে পড়ে ফেলতে পারবে। যদি তা হুমায়ূনের হয়। আবার তাঁর লেখার যে জগত তা আমাদের চেনা জানা সোসাইটির, মধ্যবিত্তের সুখ-দুঃখ,আবেগ, গরীবীপনা, বৃহৎ মন........... টাইপ হওয়ায় পাঠক যেন নিজের গল্প পড়ছে এ মোহে সে নিবিষ্ট হয়ে পড়ে হুমায়ূনের গদ্যে। 

হুমায়ূনীয় লিটারেচারের আরেকটা দিক পলিটিক্যাল ফিলোসফি না থাকা তত প্রবল। এতে জেন্টেলম্যান মিডল ক্ল্যাস খুশি তারা পলিটিক্স থেকে দূরগামী প্রাণী ভাবে নিজেকে। একজন বড় লেখকের পলিটিক্যাল ফিলোসফি তার লিটারেচার থাকাটা জরুরি। পলিটিক্যাল ফিলোসফি মানে কোনো দৃশ্যমান রাজনৈতিক দলের পক্ষে না এর ধারণা বৃহৎ। যদিও মোটাদাগে তিনি মধ্যবিত্তের প্রতিনিধি ছিলেন। 

হুমায়ূন তাঁর নিজের সাথে আপোষকামিতা তাঁর লেখার ক্ষমতাকে খর্ব করে দিলে ও তারপরও তাঁর কিছু লেখা হয়ে উঠেছে সেই। তা যদিও কম খুব কম। একজন ট্রু আর্টিস্ট কখনোই নিজের সাথে বা সমাজের সাথে আপোষ করতে পারে না, যেমনটা ছিলেন ঋতিক ঘটক। আর হুমায়ূনের সবচে বাজে লেখাটাও পাঠ করা কেন সুখপাঠ্য তার ভিতরে যে গদ্যের কারিশমা তা বুঝে উঠতে পারছেন নিশ্চয়ই। 

হুমায়ূন শেষের দিকে জীবনানন্দ চরিত্রকে খুব ভালোবাসতেন বরঙ তিনি তাইই হয়ে উঠতে চেয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন। মানে জীবনানন্দ মানে ট্রু আর্টিস্ট। মানে যার কাছে আর্ট লিটারেচারের কাছে জীবনের জৌলুস থুতুর মতো তুচ্ছ। এই যে হুআর ট্রু আর্টিস্ট না হইতে পারার ক্ষোভ নিজের মনে তাকে কিছুটা হলেও পাপবোধ এ ভুগাইছে আমার মনে হয়। জীবনানন্দ অনেকে হতে চায় আর ক'জনা জীবনবাবুর জীবন বেছে নিতে চায়? উত্তর একজন ও না উইদাউট ট্রু আর্টিস্ট। কিন্তু যাপিত জীবনে রাজা না প্রজা হয়ে কাটালো তার চে বড় লিটারেচার হয়ে উঠলো কি না?

লেখা পাঠান- chilekothasahitto@gmail.com

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

দেশসেরা বুকশপ থেকে কিনুন চিলেকোঠার বই

চিলেকোঠা বেস্ট সেলার বইসমূহ

‘নক্ষত্রের খোঁজে’ প্রতিযোগিতা ২০২২ এর নির্বাচিত বই