মধুবাজ (হার্ডকাভার)
রেদওয়ান খান
মূল্য: ৩৯২/- ৩১৩/- *Save 79 Taka (20%)
‘নক্ষত্রের খোঁজে ২০২২’ পাণ্ডুলিপি প্রতিযোগিতার শ্রেষ্ঠ উপন্যাস
পৃষ্ঠা: ১৭৬
প্রথম প্রকাশ: অমর একুশে বইমেলা ২০২৩
ISBN : 978-984-97081-4-8
কিছু পৃষ্ঠা পড়ুন | অনলাইনে অর্ডার করুন | সরাসরি অর্ডার করতে হোয়াটসএপে মেসেজ করুন |
বইয়ের ফ্ল্যাপ থেকে:
চিলেকোঠার ‘নক্ষত্রের খোঁজে’ প্রতিযোগিতা ২০২২ এর শ্রেষ্ঠ উপন্যাস ‘মধুবাজ’। রেদওয়ান খানের এ উপন্যাসটাকে সেরা হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে মূলত উঁচু মানের বয়ানভঙ্গীর কারণে। যা এ উপন্যাসের মূল শক্তি। জীবন দর্শনের দ্যুতিও উপন্যাসে আলাদা স্বাদ যোগ করেছে। যে জীবন দর্শন, চেনা হয়েও ঠিক যেন চেনা নয়। এখানে দুঃখ জীবনকে ছাপিয়ে ওঠে না কোথাও। দুঃখ এ উপন্যাসে জেতে না; বরং এক শান্ত-দৃঢ়-চলমান জীবন সংগ্রাম সবচেয়ে বড় সত্যি হয়ে সামনে আসে আর বরাবরের মত আমাদের বোঝায়- চলমান জীবন সংগ্রামের চেয়ে মহত্তর আর কিছুই নেই।
গড়পড়তা একটা গল্পের সূত্রপাত, ক্লাইমেক্স এবং চূড়ান্ত পরিণতি- এমন ছকে বাঁধা উপন্যাস এটি নয় বরং ‘মধুবাজ’ লেখা হয়েছে ননলিনিয়ার বয়ান ভঙ্গীতে। পাঠক হয়তো বিভ্রান্ত হয়ে যেতে পারেন ভেবে ভেবে যে এখানে গল্প কোথায়, সমাপ্তি কোথায়, গল্প কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছে?
উত্তরে শুধু এটুকুই বলা যায়, ঔপন্যাসিক এ উপন্যাসে নারী-পুরুষের সম্পর্কের জটিলতা আর প্রবাস জীবনের বুক ভার করা সংগ্রামের ছবি এঁকেছেন। প্রবাসের পথে পথে ছড়ানো গল্পগুলো জড়ো করে একটা বড় ক্যানভাসের ছবি দাঁড় করাতে চেয়েছেন। আর এ ছবি এত স্পষ্ট যে, পাঠক হয়তো কোথাও কোথাও চমকে উঠবেন নিজ জীবনের সাথে মিল খুঁজে পেয়ে অথবা কোথাও কোথাও হয়ে পড়বেন বিষণ্ন। পাঠককে বিষণ্ন করে তোলা হয়তো উপন্যাসের উদ্দেশ্য নয়; তবে বইয়ের পাতার বিষণ্নতা, রঙহীনতা এবং দীর্ঘশ্বাস পাঠকের মনে ছড়াতে পারাও এক বিশেষ ক্ষমতার পরিচায়ক। এ ক্ষমতা বা সক্ষমতাই মূলত একটা উপন্যাসকে স্বার্থক করে তোলে। সেই বিচারে ‘মধুবাজ’ উপন্যাসও একটি স্বার্থক উপন্যাস হিসেবে পাঠককে মুগ্ধ করবে।
লেখক পরিচিতি:
রেদওয়ান খান
জন্ম ১৯৭০ এর ২৩ সেপ্টেম্বর। বিশাল মেঘনা আর ডাকাতিয়ার স্মৃতিজনপদে বেড়ে ওঠা। বাবা-মা, আব্দুর রাজ্জাক খান-রহিমা বেগম– দু’জনেই ছিলেন কল্পনা জগতে সাঁতরানো মানব-মানবী আর তাঁদের মানবিকতা, আবেগপ্রবণতার ছোঁয়া লেখককেও বেঁধে রেখেছে জীবনভর। পিতামহ সুলতান খান ছিলেন প্রচণ্ড পড়ুয়া আর গল্পকথক। তিনিই গ্রন্থপাঠ ও লেখালেখির বীজ বপন করে দিয়েছেন। পিতামহের কারণেই অতি অল্পবয়সে পাঠ করা হয়েছিল রূপকথা থেকে শুরু করে বিশ্বসাহিত্যও। পড়াশোনা বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যে। তবে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা কখনোই অন্তরে ছাপ রেখে যায় নাই। মনের স্থিরতা নাই, তাই যখন যা ভালো লেগেছে, করেছেন তা-ই। প্রকাশিত গ্রন্থ চারটি। দু’টি গল্পের– মাকড়সা নির্মাণ, অচিন ধ্রুবতারা। কবিতার বইও দু’টি – দেহবিতান, কাল মহাকাল।
লেখক নিজের সম্পর্কে খুব বেশি কিছু বলতে চান না। লেখালেখিগুলোই তাকে চেনাতে সহায়তা করবে বলে মনে করেন। একান্ত মনে, নিজের স্টাইলে লিখবেন বলে, নিজেকে আড়ালে রাখেন সভা ও সংঙ্ঘ কোলাহল থেকে।
রিভিউ:
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন