পশ্চিমের পিতা (হার্ডকাভার) *Best Seller
আখতার মাহমুদ
মূল্য: ৫৫০/- ৪৪০/- *Save 110 Taka (20%)
হিস্ট্রিক্যাল থ্রিলার
পৃষ্ঠা: ২৮২
প্রথম প্রকাশ: ২০২২
ISBN : 978-984-96010-1-2
কিছু পৃষ্ঠা পড়ুন | অনলাইনে অর্ডার করুন | সরাসরি অর্ডার করতে হোয়াটসএপে মেসেজ করুন |
বইয়ের ফ্ল্যাপ থেকে:
প্রাচীন ইতিহাস ঐতিহ্যের গবেষক রাজশেখর আচমকা হাতে পেয়ে যায় এক গোপন ম্যাপ। ম্যাপটা সত্যি হলে উল্টে-পাল্টে যাবে পৃথিবীর চেনা ইতিহাস। কিন্তু সে জানে বৃটিশ সাম্রাজ্যের একচ্ছত্র অধিপতি মহাশক্তিধর রানীর অনুগ্রহে বেড়ে ওঠা এক মানুষ শিকারী তার পেছনে ধেয়ে আসছে। রাজশেখর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বঙ্গভঙ্গের উত্তাল আন্দোলনের সময়ে হানা দেয় কলকাতার মার্বেল প্যালেসে। মরিয়া হয়ে খুঁজতে থাকে এক গোপন কুঠুরি। সব রহস্য ওখানেই লুকিয়ে আছে....
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে বিভ্রান্ত ড. ইসলাম বুঝতে পারেন জীবনের সবচেয়ে বড় রহস্যে তিনি জড়িয়ে পড়েছেন। প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনায় প্রাচীন ইতিহাস খুঁড়ে আনতে গিয়ে তিনি পা দিয়ে ফেলেন ক্ষমতাধর বুকানস্কির লেজে। আড়ালে থেকে সে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে সে ড. ইসলামের চারপাশ। ড. ইসলাম বুকানস্কির সব বাধা উপেক্ষা করেও মরিয়া হয়ে ছুটতে থাকেন রহস্যের চাবির পেছনে। কেবল মাত্র ওই চাবিটাই দিতে পারে ‘পশ্চিমের পিতা’ নামক এক জটিল-প্রাগৈতিহাসিক রহস্যের সমাধান। কিন্তু রহস্যের চাবি নিয়ে পালিয়েছে এক রহস্যময়ী....
হাজার হাজার বছর পেছনে দাঁড়িয়ে পৃথিবীর প্রথম দার্শনিক ইসাক এক অবিশ্বাস্য গল্প নিয়ে হাজির হয়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি গল্পটা সে হাজার হাজার বছর পূর্বে বলেছে বর্তমানের মানুষের জন্যেই! তার গল্পের সময়জালে চমকের বদলে উঠে আসে চিন্তাশীলতার মত মণি-মুক্তো। উঠে আসে মানুষের প্রাগৈতিহাসিক সংঘাতের মহাকাব্যিক বয়ান। যে সংঘাতের মূলে লুকিয়ে আছে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র- আদর্শের দ্বন্দ্ব...
‘পশ্চিমের পিতা’ তিনটি ভিন্ন ভিন্ন সময়ের গল্প বলে। থ্রিলার হলেও ট্রেডিশনাল থ্রিলারের বৈশিষ্ট্যের বাইরে দাঁড়িয়ে ‘পশ্চিমের পিতা’ ভিন্ন ভিন্ন সময়ের গল্পগুলোকে এক বিন্দুতে মিলিয়ে মূলত এমন এক বয়ান নিয়ে হাজির হয় যে বয়ানে মিলেমিশে আছে সভ্যতার সংঘাত, পাশ্চাত্যবাদ এবং আদর্শিক দ্বন্দ্ব।
চিন্তাশীল পাঠক, আপনাকে আমন্ত্রণ।
লেখক পরিচিতি:
আখতার মাহমুদ
জন্মস্থান- কাউখালি, রাঙ্গামাটি। জন্ম তারিখ- ২৬
ডিসেম্বর, ১৯৮৫। পড়াশুনা, বেড়ে ওঠা সবই চট্টগ্রাম
শহরে। ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স, এম.এ চট্টগ্রাম সরকারি সিটি
কলেজ হতে। বর্তমানে একটি সরকারি কোম্পানিতে জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।
লেখালেখিতে পছন্দের বিষয়বস্তু- মনস্তত্ত্ব, ইতিহাস, দর্শন ও স্যাটায়ার।
প্রকাশিত বইসমূহ
উপন্যাস: পথিক রাজপুত্র, স্বপ্নবন্দী
গল্পগ্রন্থ: একটি ইঁদুর বিষয়ক মিথ
প্রবন্ধগ্রন্থ: অবিশ্বাসীর মনস্তত্ত্ব
লেখকের ব্লগ: https://akhtarmahmud.blogspot.com/
লেখকের ফেইসবুক পেইজ: https://www.facebook.com/authorakhtarmahmud/
রিভিউ:
১.
‘পশ্চিমের পিতা উপন্যাসটি মুলত তিনটি সময়ের গল্প যার প্রতিটি গল্পের সুতোঁ সভ্যতা, একচ্ছত্র, জয়, সংঘাতের সাথে সম্পৃক্ত। লেখক মিথলজির মিশ্রণে তিনটি টাইমলাইনকে এক করে এত দূর্দান্ত ভাবে তার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন তা অকল্পনীয়। বইয়ের ১ম পৃষ্ঠার লেখাটাই আপনাকে প্রতিটা পৃষ্ঠার গভীরতা বুঝাতে অনুধাবন করাবে। “মানুষ সবসময় আবিষ্কার-উন্মোচনের নেশায় পথে নামেনা;ধ্বংসের নেশাও কখনো কখনো মানুষকে পথে নামায়”।
পশ্চিমের পিতা উপন্যাসের শব্দ বুনট, লেখনশৈলী, প্রতিটা চরিত্রগঠন নিয়ে কিছু বলার রাখেন নি লেখক। এই উপন্যাসের পিছনে উনার রাতজাগা হাজারো গবেষনা বইয়ের পাতায় পাতায় আপনার চোখে পড়বে। তিনটা সময়ের গল্পে একই ফর্মুলায় মূল বিষয়গুলো উপস্থাপন করা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য আর তার পরতে পরতে ছিল মিথের মিশ্রণ।
*বানান ও প্রোডাকশন কোয়ালিটি দেখলে যে কারো মন ভাল হয়ে যাবে। তবে বইয়ের মাঝে দেয়া সাইনমার্ক ফিতার সুতোঁর বাঁধন ভালো ছিলোনা। থ্রিলার ও মিথের মিশেলে তিন টাইমলাইনের গল্প যাদের পছন্দ তাঁদের জন্য অবশ্যই মাস্টরিড বই "পশ্চিমের পিতা।’
— মাহরীন হক মোহো, শিক্ষার্থী, নরসিংদী
২.
‘পশ্চিমের পিতা”উপন্যাসটি ব্যক্তির ক্রমবিকাশ অথবা ধ্বংসের কাহিনি। একটি মিথলজিক্যাল হিস্ট্রিক্যাল থ্রিলার উপন্যাস।মানুষের প্রাগৈতিহাসিক সংঘাতের মহাকাব্যিক বয়ান। পাঠের সময় একজন পাঠক কেবল ভিন্ন ভিন্ন সময়রে আত্মার স্পন্দনটুকু উপলব্ধি করতে পারবেন। আর উপলব্দি করবেন লেখকের অসংখ্য দিনের গবেষণালব্দ পরিশ্রম।
তিনটি সময়কালকে তিনটি পর্বে বিভক্ত করে লেখক ভিন্ন ভিন্ন সময়কালকে একটি ফর্মুলায় উপস্থাপন করেছেন। উপন্যাসের ১ম পর্বের এবং ৩য় পর্বের গল্পের বুনটটা এতই চমৎকার ছিলো, মিথলজির এতটাই সুন্দর সংমিশ্রন ছিলো যে মনে হচ্ছিলো সবকিছুই দৃশ্যমান বাস্তব।
উপন্যাসের ২য় পর্বে আমার দৃষ্টিতে কিছুক্ষেত্রে দূর্বলতা পরিলক্ষিত ছিলো। লেখক বর্তমান সময়ের আবহটাকে সংমিশ্রণ করতে গিয়ে কিছু সময়ের জন্য মনোযোগ হারিয়েছেন মনে হলো। সোশাল মিডিয়ার আধিপত্যটা মাথায় রাখতে গিয়ে ড্রামাটিক মনোলগের বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়েছে। লেখক ইচ্ছে করলেই হয়তো ড্রামাটিক মনোলগের বৈশিষ্ট্যটিকে অন্যরুপে নিয়ে আসতে পারতেন।’
— জুয়েল বড়ুয়া বাপ্পু, কবি ও কথাসাহিত্যিক, চট্টগ্রাম৩.
‘থ্রিলার অনেক পড়ছি। এই উপন্যাসটা সাধারণ থ্রিলারের মতো না, এটুকু বলা যায়। উপন্যাসটা তিনটা ভাগ করা যায়। প্রথম ভাগটা ভূমিকা মতো, কাহিনির প্রারম্ভ বা সূচনার বয়ান। দ্বিতীয় ভাগে রহস্য উদঘাটনের কাহিনি, এই ভাগ পুরো মাত্রায় থ্রিলার বলা যায়। আর তৃতীয় ভাগটা কিছুটা ফ্যান্টাসি ধরনের হলেও এখানে বুদ্ধিবৃত্তিক আলাপ, তর্ক বিতর্ক, একটা সভ্যতার উত্থান পতন সহ অনেক কিছু উপস্থিত করেছেন লেখক। বলা যায় এই ভাগটা বইয়ের প্রাণ।
সবমিলিয়ে এটা একটা দারুণ থ্রিলার উপন্যাস। সেইসাথে যুক্ত হয়েছে যুক্তি-তর্ক, ধর্ম, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মারপ্যাচ। সভ্যতার ভাঙা গড়ার পাশাপাশি গুপ্ত সংঘ, পশ্চিমের নিজেকে শ্রেষ্ঠ বলার দাবিকে চ্যালেঞ্জ করা, আমার মনে হয় এই ব্যাপারটা বইয়ের একটা শ্রেষ্ঠ দিক। যেভাবে বলছে, বুদ্ধ আর কনফুসিয়াস পশ্চিমে না হওয়ায় অতোটা কদর পাননি যতোটা সক্রেটিস পেয়েছেন। এই বাক্য দিয়েই বইটারে আলাদা উচ্চতায় নিয়ে গেছেন লেখক।’
— সালমান সাদিক, কথাসাহিত্যিক, ঢাকা৪.
‘থ্রিলার স্টাইলের গল্পটা খুবই ভাল লেগেছে। বৃটিশ গবেষক জেমস ভারতে এমন কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য খুঁজে পাচ্ছিল যা য়ুরোপের বিশেষরকম স্থাপত্যের জনকত্বকে হারা মানায়। অর্থাৎ প্রাচ্যই মূলত অধুনা য়ুরোপের ভিত্তির সময় স্রষ্টা হিসাবে কাজ করতেছিল। সে এইরকম স্থাপনা ধ্বংস করতে মাঠে নামে। তার সাথে কাজ করতে গিয়ে ভারতের রাজশেখর ব্যাপারটা ধরে ফেলে।
ঢাকার ড ইসলাম নামের প্রত্নতাত্ত্বিক ভূমিকম্পের ফলে উপকূলীয় এলাকায় আট হাজার বছর আগের একটা গুহা জেগে উঠতে দেখে। সে তা নিয়ে গবেষণা করে একইরকম ইতিহাস বের করে যা বোঝায় য়ুরোপের গোড়ায় একজন প্রাচ্যীয় পিতা ছিলেন। এই প্রজেক্টের জন্যে বহির্শক্তি রাশান বুকোনস্কির রোষানলে পড়তে হয়। কিছু তথ্য তার দ্বারা চূরি হওয়ায় ড ইসলাম নানান গোয়েন্দাগিরি চালিয়ে তা উদ্ধার করে।
গল্পের শেষে বিশ্বাস অবিশ্বাস নিয়ে কিছু দার্শনিক আলাপ চলে আসে। লেখক বিশ্বাসের যৌক্তিকতা খুঁজে পেয়েছেন তৃপ্তিতে, একজন বিশ্বাসীর চূড়ান্ত পর্যায়ের একটা ভরসা বা আশার জাগা থাকে যাতে সে তৃপ্ত হতে পারে। যে তৃপ্তি অনাবিল। পক্ষান্তরে ভোগবাদী অবিশ্বাসী বহুত আশা পুরা করেও অতৃপ্তিতে ভোগে।
আমার মনে হয় ব্যাপারটা অতটা তরল নয়। বিশ্বাস পহেলা ও প্রধাণ ধাপ হল আমি যুক্তি ছাড়াই বিশ্বাসী। কোনটা মানুষকে তৃপ্ত রাখে কোনটা রাখে না তা কখনই মাপকাঠি না। বিশ্বাসীও কখনও অতৃপ্ত হয় বা অবিশ্বাসীও ভোগ বিলাস করে সারাজীবন তৃপ্ত থাকতে পারে। এটা ত আপেক্ষিক বরং আমরা বলতে পারি আমার বিশ্বাশের প্রতিটা কণা যৌক্তিক তবে এর যুক্তি দেয়া আমার জন্যে জরুরি না।’
— ইনাম মুর্তজা, লেখক, ক্রিটিক, ঢাকা
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন