চিলেকোঠা ওয়েবজিনে প্রকাশিত সাহিত্যকর্ম ও অন্যান্য

সফলতার পথ ও পাথেয়

bptzhcPndh_4QleXEzZVT0aJVO1TQcMjwVM3hlQ2qWT4iGuwLq2KOXrVglaufwjJTS-C2pVwRW0sFeXgnoVmyhxfGofDusu4X94YP923rr2fsUszpB3OV5XYlOFjYAuqh5WFoKhuShNkNJ1gMJibUUSsgpDwUQObirxu2_7HoCenuZxP3YS_VkHwSy2-Lre1rvE2EvtcCIBKvIyT4jimSZLhxey1aTuDctLDeAw4SKAAhmCJnrU_U5zx7fOrG4N3g5S5otjYwBHeUYS7ybypX4ujlOQ793VLs5eO2KrLSzZNn9tzMNdF3cYbCw-4SUsZEScEr8MdEmYjGAsx--FTYPiPgnpRGFh-aTtsXHCCHZqKBames8pCQriUbP3oqQjuaTFGMh6lOBUnIbUX_PtVf5OGbxSATq4o-HAe48zWc6cxhiqHOHS2vTC2czXjwM2fd7I4nv2ok8pClZwJFLq4Uy2yLLI-pObpLh83EqnmL7te4u46KDjcDfUeqqVHBzHoCaiZpbLUtMbioidb-0bFbqltsrj9PIU9im3fbAYQogm9jLyPpMtAIxYx86hiVeTCI6b1O86BcBbcNwf6HRaIMYYLq9bYEYBdKC9uy0kWMMzzTITU-8GeihJV0CruBZp-VyvcaezLEMBV0htv4qGGRs9ay5HSA3UxolQQ-yb9paPvxESUqV6v9X0mJgK0rzTvrGgmHz5nMfw_46C-mAFsOOyS2hZD5TzmhVTPeyF4yLxuvBE_aFbeiyUfvp2uC3TLD-p3x0SNjcNavoX29Ihly-KD9z4JvBzVuiVGLLSJs-52mIxA1Jn8A76sZpUiIt9uMUd7Nc67u3hif3IYgjWpeKTts75vhilVWOuBJJqOg0wU9-H3wOxo2pkDzPLkRnVUJ8Gk3_Dgq5p4NxRLKxNw3mTQb6vK4lxi1KEv75UJQe1wskVo4374PxscgGaA1xxa3SE3SB5N_dg7WLt5rKTJ=w433-h629-s-no 

সফলতার পথ ও পাথেয় (পেপারব্যাক) *Best Seller

মাওলানা ওয়াহিদুদ্দিন খান

মূল্য: ২৯৮/- ২৩৮/- *Save 59 Taka (20%)

আত্মউন্নয়ন

পৃষ্ঠা: ৮০

প্রথম প্রকাশ: ২০২২

ISBN: 978-984-9601043

কিছু পৃষ্ঠা পড়ুন অনলাইনে অর্ডার করুন সরাসরি অর্ডার করতে হোয়াটসএপে মেসেজ করুন

বইয়ের ফ্ল্যাপ থেকে:

সফলতার পথ ও পাথেয়

(মওলানা ওয়াহিদুদ্দিন খান এর ‘রাঁহে বন্দ নাহীঁ’ ও নির্বাচিত বক্তব্যের অনুলেখ)

সুখী হবার লক্ষ্য এই জগৎ, কিন্তু এই লক্ষ্যই যে আসল লক্ষ্য নয়, এই কিতাবখানা আমাদের মাঝে সেই বোধ জন্মাবে। সুফিবাদে যেমন বলা হয় পরমপ্রিয়’র সাথে মিলন নয়, বরং মিলনের অভিলাষে কদম ফেলাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার; ঠিক সেভাবেই গল্পের গাঁথুনিতে কিংবা চমৎকার কোনো উদাহরণ টেনে মওলানা বলবেন, ‘কর্মতৎপরতাই সাফল্যের মূল।’ সাফল্যকে তিনি কোনো নির্দিষ্ট ধারণায় আটকে দেননি। পৃথিবী এক খোলা ময়দান, এখানে যেকোনো লোক যেকোনো পন্থা অবলম্বন করে সফল হতে পারে। মওলানা ওয়াহিদুদ্দিন খান মূলত সাফল্যের যেসব পন্থা ও পদ্ধতি নিয়ে আলাপ করেছেন সেসবকে সুঅনুবাদক মওলবি আশরাফ চমৎকার অনুবাদে পাঠকের জন্য তুলে এনেছেন।  আশা করা যায় পাঠক বইটি পাঠের মাধ্যমে আত্মিক ও বৈষয়িক সাফল্যের পথ খুঁজে পাবেন।


লেখক পরিচিতি:

মাওলানা ওয়াহিদুদ্দিন 

মওলানা ওয়াহিদুদ্দিন খান ১৯২৫ সালের পয়লা জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের আজমগড় জেলার বাডহারিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফরিদুদ্দিন খান এবং মায়ের নাম  জেবুন্নিসা খাতুন। তিনি যখন মাত্র চার বছর বয়সী, তখন তার বাবা ইন্তেকাল করেন। ১৯৩৮ সালে তিনি মাদরাসাতুল ইসলাহিতে ভর্তি হন এবং সেখানে ছয় বছরের ‘আলিম’ কোর্স সম্পন্ন করে ১৯৪৪ সালে বের হন।

প্রথম জীবনে মওলানা জামায়াতে ইসলামির রাজনীতিতে যোগদান করেন, এমনকি মজলিসে  শুরার সদস্যও ছিলেন, কিন্তু খুব দ্রুতই আদর্শিক মতপার্থক্য দেখা দেয়, এবং দশ বৎসর সেবাদানের পর ১৯৬২ সালে তিনি দলত্যাগ করেন। পরের বছর তিনি জামায়াতে ইসলামির রাজনৈতিক মতাদর্শের ওপর একটি পর্যালোচনামূলক গ্রন্থ প্রকাশ করেন, যার শিরোনাম ছিল তা’বির কি গালতি বা ব্যাখ্যায় বিভ্রান্তি। এরপর তিনি আর প্রত্যক্ষ রাজনীতির সাথে যুক্ত হননি, সারাজীবন শান্তিবাদী মিশন চালিয়ে সে ছেন।

তিনি ইসলামের বহুমাত্রিক ধারণা ও আন্তঃসামাজিক সম্পর্ককে খুব গুরুত্বের সাথে নিয়েছিলেন, এবং এই মতবাদ প্রচারের নিয়তে ‘মওলানা ওয়াহিদুদ্দিন খান পিস ফাউন্ডেশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। তিনি মনে করতেন মুসলমানদের ‘বিশ্বব্যাপী নিপীড়িত ও নির্যাতিত’-এর ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, এবং প্রতিকূলতা সত্ত্বেও হাতের নাগালে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেদের উন্নত করতে হবে। তিনি সুরা ইউসুফের ৮৭ নং আয়াত উলেখ করে বলতেন, ‘একমাত্র অবিশ্বাসী সম্প্রদায় ছাড়া কেউ আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় না।’

মওলানা ধর্মভিত্তিক প্রতিহিংসার রাজনীতি ও উগ্রবাদের বিরোধিতা করতেন, এবং সামাজিক সম্প্রীতি ও আন্তঃধর্মীয় সম্পর্ক তৈরিতে প্রচারণা চালাতেন। এই লক্ষ্যে  ১৯৭৬ সালে আর রিসালা (বার্তা) নামে একটি উর্দু পত্রিকা চালু করেন। ১৯৮৪ সালের  ফেব্রুয়ারিতে পত্রিকাটির ইংরেজি সংস্করণ এবং ১৯৯০ সালের ডিসে ম্বরে হিন্দি সংস্করণ শুরু হয়। এছাড়া তিনি উর্দু ও ইংরেজিতে দুইশো’র অধিক বই-পুস্তক লিখেন, এবং কোরআনের তফসির ‘তাযকিরুল কোরআন’ লিখে তা সমসাময়িক ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। তার উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে আছে : তাযকিরুল কোরআন, কিতাবে মা’রেফাত, তা'বির কি গালতি, গড অ্যারাইজেজ, ইসলাম রিডিসকোভারড, ইসলাম অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড পিস, পয়গম্বরে ইনকিলাব, আলাহু আকবর, রাযে হায়াত, দ্য প্রফেট অফ পিস ও শান্তির যুগ ইত্যাদি।

বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও দাঁড় করিয়েছিলেন, এর মধ্যে ১৯৭০ সালে নয়াদিল্লিতে ‘ইসলামিক সেন্টার’, ২০০১ সালে ‘সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড স্পিরিচুয়ালিটি’ (সিপিএস), এবং বিনামূল্যে কোরআন প্রচারের জন্য ২০১৫ সালে ‘কোরআন ফাউন্ডেশন’।

মওলানা তার কর্মের জন্য ২০০৯ সালে ‘The 500 Most Influential Muslims’-এর অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০০ সালের জানুয়ারিতে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মভূষণ ও ২০২১ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মবিভূষণ লাভ করেন। এছাড়া সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভের পৃষ্ঠপোষকতায় আন্তর্জাতিক ডেমিরগাস শান্তি পুরস্কার, মাদার  তেরেসার কাছ থেকে জাতীয় নাগরিক পুরস্কার, ২০০৯ সালে রাজিব গান্ধী জাতীয় সদ্ভাবনা পুরস্কার, ইসলামিক সোসাইটি অফ নর্থ আমেরিকা থেকে আজীবন সম্মাননা ও ২০১৫ সালে আবুধাবিতে সাইয়িদিনা ইমাম আল হাসান ইবনে আলী শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।

ব্যক্তিজীবনে মওলানা দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জনক ছিলেন। তার বড় ছেলে জাফারুল ইসলাম খান ‘দ্য মিলি সে জেট’ পত্রিকার সম্পাদক ও ‘চ্যারিটি অ্যালায়েন্স’-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, ছোট ছেলে ডক্টর সানিয়াসনাইন খান একজন লেখক ও উপস্থাপক, বড়  মেয়ে প্রফেসর ড. ফরিদা খানম একজন ইসলামিক স্কলার, পিস অ্যাক্টিভিস্ট ও সিপিএসে র বর্তমান চেয়ারম্যান আর ছোট মেয়ে মুসলেমা সিদ্দিকি একজন ডক্টর। 

মওলানা ওয়াহিদুদ্দিন খান ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল কোভিড-১৯ জনিত কারণে নয়াদিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি র-জিউন। আমরা তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি। মওলবি আশরাফ


অনুবাদক:

মওলবি আশরাফ

প্রবন্ধকার ও অনুবাদক, তবে নিজেকে একজন পাঠক ভাবতেই বেশি পছন্দ করেন। ২০১৬ সালে জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুল ফালাহ মোহাম্মদপুর মাদরাসা থেকে ‘তাকমিল ফিল হাদিস’ (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন। এরপর উচ্চতর শিক্ষার উদ্দেশে মা’হাদ সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভীতে ২০১৭ সালে ‘তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব’ (দাওয়াহ), মারকাজুল কোরআন মাদরাসায় ২০১৮ সালে ‘ইসলামি আইনশাস্ত্র’ (ইফতা) বিভাগে পড়েন, আর বর্তমানে শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অফ ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে পড়ছেন। প্রধান আগ্রহ ধর্ম, শিল্পসাহিত্য ও রাজনৈতিক দর্শনে। কাজ করছেন ‘মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক আদর্শের পরম্পরা’ তালাশে, একই সাথে শাহ ওলিউল্লাহ দেহলবির ওপর একটি পাঠচক্র পরিচালনা করেন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বইয়ের কাজ সম্পন্ন করেছেন, এর মধ্যে আছে ‘মুমিনের নজরানা’, ‘অয়ং ভয়ং রবীন্দ্রনাথং ও অন্যান্য প্রবন্ধ’ (প্রকাশিত ২০২৩ বইমেলা), এবং মওলানা ওবায়দুল্লাহ সিন্ধির ‘কোরআন পড়ার মূলনীতি’ ও মওলানা ওয়াহিদুদ্দিন খানের ‘দ্য সিক্রেট অফ সাকসেস’ বইয়ের অনুবাদ। এছাড়া দৈনিক যুগান্তরের ‘ইসলাম ও জীবন’ পাতায় নিয়মিত লিখেন ও অনুবাদ করেন। তিনি বিশ্বাস করেন জ্ঞানতাত্ত্বিক লড়াই জ্ঞানতত্ত্ব দিয়েই হয়, তাই চিন্তার বিপ্লবকেই মুক্তির পথ ভাবেন।

রিভিউ:


মন্তব্যসমূহ

দেশসেরা বুকশপ থেকে কিনুন চিলেকোঠার বই

চিলেকোঠা বেস্ট সেলার বইসমূহ

‘নক্ষত্রের খোঁজে’ প্রতিযোগিতা ২০২২ এর নির্বাচিত বই