চিলেকোঠা ওয়েবজিনে প্রকাশিত সাহিত্যকর্ম ও অন্যান্য

ফ্লবেয়ার এন্ড মডার্ন ন্যারেটিভ



ফ্লবেয়ার এন্ড মডার্ন ন্যারেটিভ 

মূলঃ জেমস উড

অনুবাদঃ সারোয়ার রাফি 

[জেমস উড হইলেন একজন ব্রিটিশ লিটারেরি ক্রিটিক, প্রাবন্ধিক এবং নভেলিস্ট। তিনি ১৯৯২-১৯৯৫ সাল পর্যন্ত গার্ডিয়ানের মুখ্য লিটারেরি ক্রিটিক ছিলেন।১৯৯৫-২০০৭ সাল পর্যন্ত ছিলেন দ্যা নিউ রিপাবলিকের সিনিয়র এডিটর। এই প্রবন্ধটা ওনার 'How Fiction Works' বইটা থিকা লকডাউনের শুরুতে অনুবাদ করছিলাম।প্রবন্ধটা যেহেতু ফ্লবেয়াররে নিয়া তাই ওর বইয়ের থিকা উনি কোটেশন ব্যবহার করছিলেন।প্রমিত ভাষাতেই এগুলা অনুবাদ করছিলাম।লেখাটাতে তাই রাখলাম কারণ এই কোটেশনগুলা ফ্লবেয়ারের তা যেন আলাদা কইরা চোখে ঠেকে তাছাড়া ওরে অনুবাদ করা খুব প্যারা তবুও চেষ্টা করছিলাম। ভুলক্রুটি যে হয়নাই আমি তা কমু না তবুও সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি আমি। এইগুলা মাথায় রাইখা- চলেন,পড়া যাক প্রবন্ধটা এবার...]

কবিরা যেমন বসন্তরে শুভেচ্ছা জানায়, নভেলিস্টদেরও ফ্লবেয়াররে শুভেচ্ছা জানানো উচিতঃ এই সবকিছুতো তার সাথে সাথেই শুরু হইছে। সময়ের বিবেচনায় ফ্লবেয়ারের আগে একটা সময় আছিলো আর তার পরে আরেকটা। এখনকার বেশিরভাগ পাঠক এবং লেখকেরা মডার্ন রিয়েলিস্ট ন্যারেশন বলতে যা বোঝে তা স্পষ্টভাবে ফ্লবেয়ারের মাধ্যমেই শুরু হইছে। এর প্রভাব আজো খুব পরিচিত, দৃশ্যমান।আমরা টেলিং এবং চমৎকার ডিটেইলের মিশ্রণ ব্যতীত একটা ভালো প্রোজের ব্যাপারে ভাবতেই পারি না। যেইটাতে ভিজ্যুয়াল নোটিসিংয়ের উচ্চতম মাত্রা থাকে, যেইটা বজায় রাখে ভাবহীন ধীরতা এবং জানে যে অতিরিক্ত কথা থিকা কেমনে পাশ কাটাইতে হয়, একজন ভৃত্য যেমনে নিজেরে অতিরিক্ত বকবকানি থিকা পাশ কাটায়; যেইটা  ভালো ও খারাপের ভেদ নিরপেক্ষভাবে যাচাই করবার পারে, এমনকি আমাগোরে বিরক্ত কইরা হইলেও যেইটা সত্যরে বাহির করবার পারে।এই সবকিছুতে লেখকের ছাপ থাকবে অদৃশ্যভাবে।আপনে এইসবের কিছু কিছু ডিফো,অস্টিন অথবা বালজাকে খুঁইজা পাইলেও ফ্লবেয়ারের আগ পর্যন্ত এই সবকিছু পাওয়া সম্ভব না।

"জীবনের শশব্যস্ততায় সে অলস গতিতে উদ্দেশ্যহীনভাবে ল্যাটিন কোয়াটারে ঘুরছিলো কিন্তু শিক্ষার্থীরা বাড়ি চলে যাওয়াতে এ জায়গাটাকে জনশূন্য লাগছিলো।কলেজের দেয়ালগুলো অন্যদিনগুলোর তুলনায় ভয়ানক ঠেকছিলো যেন এই দীর্ঘ নীরবতাই এর জন্যে দায়ী।এরই মধ্যে সকল প্রকারের শান্তিপূর্ণ মধুর শব্দ শোনা যাচ্ছিলো।খাঁচায় পাখির ডানার ঝাপটানোর শব্দ, ঘুরেফিরে আসছিলো লেদমেশিনের শব্দের সাথে কবলারের হাতুড়ির শব্দ; এবং পুরনো পোশাক পরা একটা লোক তীব্র আশা নিয়ে অথচ বৃথাই রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে জানলাগুলোর দিকে তাকাচ্ছিলো।জনশূন্য ক্যাফেগুলোর দিকে তাকালে মনে হয়, নারীরা সরাইখানার পেছনে তাদের স্পর্শহীন বোতলগুলো নিয়ে হাই তুলে যাচ্ছে;পড়ার রুমের টেবিলে পত্রিকাগুলো উন্মুক্ত পড়ে আছে;ধোপানির দোকানে পরিষ্কার করা কাপড় হতে উষ্ণ ধোঁয়া স্ফুরিত হচ্ছে।তারপরে সে একটা বইয়ের দোকানের সামনে থেমেছিল; রাস্তায় একটা বাস ছুটে আসছিলো এবং ফুটপাতের দিকে তাকাচ্ছিলো, সে পেছন ফিরে তা দেখে; এবং তাতে চড়ে যখন লুক্সেমবার্গ পৌছায়, প্রতি পদক্ষেপে সে পেছনে ফিরে যাচ্ছিলো।"

এইটা ১৮৬৯ সালে লেখা হইছে কিন্তু মনে হয় যেন ১৯৬৯ সালের লেখা। অনেক নভোলিস্টগোর শব্দ মূলত এরকমই।ফ্লবেয়ার ক্যামেরার মতোন কইরা রাস্তার খুঁটিনাটি বিষয়গুলারে অভিন্নভাবে তুইলা ধরছে। এইখানে একটা ব্যাপার আছে, আমরা যখন কোনো মুভি দেখি তখন এর বহুকিছুই খেয়াল করি না।অথবা একটা ক্যামেরার বাইরের প্রান্তে কি আছে তাও নজর দিই না। অনুরূপ আমরা বুঝতে পারিনা, ফ্লবেয়ার আসলে কোন জিনিসগুলা খেয়াল না করার সিদ্ধান্ত নেয়।কারণ, তার বর্ণনা পইড়া মনে হয় সে সবই দেখতেছে।অনেক সময় আমরা খেয়াল করি না যে, ফ্লবেয়ারের এই খুঁটাইয়া দেখা কোনো আকস্মিক ব্যাপার না বরং পুরাপুরি কঠোরভাবে শব্দ বাছাই করা, মনে হয় যেন প্রত্যেকটা ডিটেইলই তার মধ্যে জমাটবদ্ধ বরফের মতোন বাছাই হইয়া রইছে। কত চমৎকারভাবে প্রত্যেকটা ডিটেইল আলাদা-মহিলারা হাই তুলতেছে, পত্রিকাগুলা বন্ধ হইয়া রইছে, ধুইতে থাকা কাপড় কেমনে উষ্ণ বাতাসরে স্পন্দিত করতেছে।

আর একটা কারণ আমরা ধরতে পারি না, প্রথমত, ফ্লবেয়ার কতটা সর্তকতার সহিত ডিটেইলগুলা বাছাই করছেন কারণ ফ্লবেয়ার এই কষ্টের কামগুলা আমাদের কাছে অস্পষ্ট ও লুকাইয়া রাখার তীব্র বাসনায় প্রশ্ন ছুইড়া মারতো যে, কে এই সবকিছু অবজার্ভ করতেছেঃ ফ্লবেয়ার নাকি ফ্রেডারিক? ফ্লবেয়ারের এই অবস্থানটা খুব স্পষ্ট ছিলো। সে পাঠকগোরে মুখোমুখি করতে চাইতো নৈব্যক্তিক স্পষ্ট গদ্যের মসৃণতায় (smooth wall of apparently impersonal prose), যার ডিটেইলগুলা নিজেগোরে জড়ো করে জীবনের মতোই।

''একজন লেখক তার লেখার দুনিয়ার খোদা, সবজায়গায় থাকবো, এবং কোথাও দেখা যাইবো না''

১৮৬২ সালের এক বিখ্যাত চিঠিতে ফ্লবেয়ার এই কথাগুলা লেখছিলেন। 

"শিল্প হইলো দ্বিতীয় নেচার।আর যে চরিত্রগুলা সে তৈয়ার করবে সেগুলো কিছু অনুরূপ পদ্ধতির মইধ্যে দিয়া যাইতে হবেঃ সেখানে প্রতিটি ক্ষুদ্র কণা,প্রতিটা দৃশ্য, লুকাচুপি,অসীম উদাসীনতারে উপলব্ধি করা যাইবে।একজন পাঠকের মইধ্যে এগুলা আশ্চর্যভাবে প্রভাব ফেলবে। সে বইলা উঠবে, আরে এই সবগুলা কই থিকা, কেমনে আসলো?”

ফ্লবেয়ারে নিখুঁত টেকনিকের প্রয়োগ দেখা যায় যা রিয়েলিস্ট ন্যারেশনের লাইগা খুবই প্রয়োজনীয়ঃ রীতিগত বর্ণনার লগে গতিশীল বর্ণনার একটা ফারাক আছে। স্পষ্টতই, প্যারিস স্ট্রিটে একই সময়ের ব্যবধানে মহিলারা হাই তুলতেছে না, ধোঁয়া স্পন্দিত হইতেছে না অথবা পত্রিকাগুলা টেবিলের উপ্রে পইড়া নাই। ফ্লবেয়ারের ডিটেইল বিভিন্ন সময়ের সিগনেচারে জড়াইয়া আছে, কিছু ক্ষণস্থায়ীভাবে এবং কিছু পুনরাবৃত্তি হইয়া। তবুও, তারা এতো স্বচ্ছন্দে জড়াইয়া থাকে যে মনে হয় যেন সবকিছু স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঘটতেছে।

কৃত্রিম পথে এই সুন্দরের প্রভাবটা জীবনের মতোই প্রভাব ফেলে। ফ্লবেয়ার এর মাধ্যমে এডভাইস করে যে, এই ডিটেইলগুলা একদিকে দরকারি এবং অদরকারিও বটেঃ দরকার এই অর্থে, সে এসবের সবকিছুই দেখতেছে এবং খাতায় সবকিছু লিখতেছে আর অদরকারি কারণ এই সবকিছু একচোখে দেখতে গেলে যেন সবই দলা পাকাইয়া থাকে। তারা আমাদের সামনে ফুইটা ওঠে জীবনের মতোই। একটা যুদ্ধের তথ্য যেমনে উইঠা আসে তেমনি মডার্ন স্টোরি টেলিংয়ের ধারাটিও এর সাথে দারুণভাবে কারবার করে।অনেকটা যুদ্ধের সংবাদের মতোন। ক্রাইম রিপোর্টার এবং ওয়ার রিপোর্টার এই দরকারি ও অদরকারি ডিটেইলের চরমাবস্থার বৈপরীত্য বাড়ায়। ভয় ও স্বাভাবিকতার মধ্যে যে টেনশন তার রূপান্তর ঘটায়ঃ একজন সৈন্য যখন মারা যায় তখন কাছেই ছোট্ট বালক স্কুলে যায়।

তবে এই বিভিন্ন সময়ের সিগনেচারগুলা অবশ্যই ফ্লবেয়ারের আবিষ্কার না। সবসময়ই চরিত্র গুলা এমনকিছু করে যখন অন্যদিকে বিপরীত কিছু ঘটে। ইলিয়াডের ২২ নম্বর চ্যাপ্টারে আছে যে,....অডে ''Musee des Beaux'' এ Brenghel এর প্রশংসা করে, এইজন্যে যে, ইকারাস যখন পতিত হয় তখন বাতাসের প্রবাহে একটা জাহাজ শান্তভাবে চইলা যায় যদিও তা অলক্ষ্যই থাকে। ডানকার্ক সেকশনে ইয়ান ম্যাকওয়ানের এটনমেন্টে, প্রধান চরিত্র একজন ইংলিশ সৈন্য যখন হৈচৈ এবং মৃত্যুর মধ্যেই ডানকার্কে পিছু হটে, তখন দেখে যে একটা বজরা পাশ দিয়া বইয়া যায়।"....

ফ্লবেয়ারের ভিউ এইসমস্ত উদাহরণ থিকা কিঞ্চিৎ আলাদা এই দিক থিকা যে, সে ছোট ও লম্বা ঘটনাগুলারে একসাথে সামনের দিকে টানে।Breught এবং McEwan এর ক্ষেত্রে,  দুইটা ভিন্ন ঘটনা একইসময়ে ঘটে।কিন্তু ফ্লবেয়ারে সময়গত অসম্ভাব্যতা জাহির করার জিদই দেখা যায়-তার চোখ অথবা ফ্রেডারিকের চোখ সবকিছুর স্বাক্ষী, একটা ভিজ্যুয়ালের মধ্যেই চৈতন্য এবং ঘটনাগুলা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গতিতে ঘটবে। সেন্টিমেন্টাল এডুকেশনে যখন ১৮৪৮ সালে প্যারিসে বিপ্লব ঘটে আর সৈন্যরা সবাইর দিকে গুলি ছোড়ে এবং চারিদিকে একটা দাঙ্গার অবস্থা বিরাজ করেঃ....আবার একটা ঘটনার বদৌলতে জানলার কাছে দাড়ানো বৃদ্ধের লম্বা সময়ের ঘটনা বাদ পড়ে, যেন সবকিছু একসাথেই ঘটে।

এইদিকে এইটা হইলো একটা ছোট্ট ঝলক, আধুনিক যুদ্ধের রিপোর্টিংয়ে পরিচিত, ভীতিকর এবং স্বাভাবিক ঘটনাগুলা একই সময়েই পর্যবেক্ষণ হয়-ফিকশনাল হিরোর দ্বারা, অথবা লেখকের দ্বারা এবং কিছু দিক দিয়া দেখতে গেলে দুইটা অভিজ্ঞতার মইধ্যে দরকারি ভিন্ন কিছু পার্থক্য নাই। সেন্টিমেন্টাল এডুকেশনেঃ...

"স্কয়ারের প্রতিটা জানলা হতে গোলাগুলি দেখা যাচ্ছিলো; বাতাসে লড়াইয়ের শব্দ ভেসে আসছিলো; ফোয়ারা ফেটে রক্ত মেশা জল গড়িয়ে পড়ছিলো, তা ছড়িয়ে পড়ছিলো কর্দমাক্ত মাটিতে।মানুষেরা তাদের কাপড়,মোজা এবং বন্দুকগুলো নিয়ে পিছলে পড়ে যাচ্ছিলো; ফ্রেডারিক তার পায়ের তলায় নরম কিছুর স্পর্শ পাচ্ছিলো; এটা ছিলো ধূসর কোট পরিহিত একজন সার্জেন্টের হাত যে কিনা নর্দমায় মুখ থুবড়ে পড়ে ছিলো।পরিচ্ছন্ন দলের কর্মীরা ছুটে আসছিলো, যোদ্ধারা কয়েদখানার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো। গোলাগুলি আরো তীব্রভাবে হচ্ছিলো। সরাইখানার মালিকেরা দোকানগুলো খুলে রেখেছিলো, এবং প্রতি মুহূর্তেই যুদ্ধে ফিরে যাওয়ার পূর্বে কেউ না কেউ ধূমপান করতে অথবা বিয়ার খেতে ভেতরে যাচ্ছিলো। সামনেই দলচ্যুত একটা কুকুর ঘেউ ঘেউ করছিলো। এই দৃশ্য সবাইকে হাসিয়েই যাচ্ছিলো।"

আধুনিক সময়ে প্যাসেজের এই সময়টুকু আমাদের মইধ্যে সন্দেহাতীত ভাবে নাড়া দেয় যে, ''ফ্রেডারিক পায়ের নিচে নরম কিছু টের পাইলো; এইটা হইলো ধূসর কোট পরা এক সার্জেন্টের হাত." প্রথমত নিস্তব্ধতায় ভয়ানক কিছু অনুমান করা ("নরম কিছু ") এবং তারপর নিস্তব্ধতারে ভয়ানকভাবে বৈধতা দেওয়া (" হাতটা হইলো সার্জেন্টের"), লেখাটা বস্তুর ইমোশনের জায়গায় অন্তর্ভুক্ত হওনের থিকা প্রত্যাখান করে। ইয়ান ম্যাকওয়ান তার ডানকার্ক সেকশনে ঠিক এই টেকনিকটাই ব্যবহার করে। সেন্টিমেন্টাল এডুকেশনেঃ...

"গাছের বিপরীতে সামনে পড়ে থাকা একটা মরা লাশ তার দিকে তাকিয়ে ছিলো। লাশটির পরনে একটি ইউনিফর্ম একদা যেটার রঙ ছিলো নীল কিন্তু দুঃখের সাথে এখন তা পাল্টে গিয়েছিল সবুজাভ ছাঁচে।মরা মাছের চোখের মতোন চোখগুলো তরুণটির দিকে ঘুরছিলো। মুখটি ছিলো খোলা। এর রক্তাভ আভা পাল্টে গিয়েছিল হলুদাভ রঙে। ধূসর হওয়া মুখের উপর দিয়ে ছোট ছোট পিঁপড়ে ছুটে বেড়াচ্ছিলো। এরই মধ্যে একটা পিঁপড়ে তার দলবল নিয়ে উপরের ঠোঁট বেয়ে ধীরে-ধীরে হেঁটে বেড়াচ্ছিলো।"

এইটা ফ্লবেয়ারের থিকা একটু বেশিই সিনেম্যাটিক (সিনেমা অবশ্যই এই টেকনিক ধার নিছে উপন্যাস থিকা)। এইখানে নিস্তব্ধ ভয় আছে ("নিষ্প্রভ চোখগুলা দেখতে মাছের লাহান")। এইখানে আছে লেন্সের জুম করার মতোন কাজ,যেইটা লাশটার আরো নিকটে নিকটে লইয়া যায় কিন্তু পাঠক আরো কাছে কাছে ভয়ের দিকে ধাবিত হয়, সেখানে গদ্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে সামনের দিকে কতক্ষণ আওগায় আবার কতক্ষণ পিছায়, তৈয়ার করে এন্টি-সেন্টিমেন্টালিটি। এইগুলা হইলো ডিটেইলের দিক থিকা আধুনিক প্রতিশ্রুতিঃ নায়ক যেন সবকিছুই লক্ষ্য করে, লিপিবদ্ধ করে সবকিছু! (...) এবং সেখানে থাকে বিভিন্ন সময়ের সিগনেচারঃ লাশটা চিরকালের লাইগা মইরা গেছে, কিন্তু তার মুখে কতগুলা জীবন বহমান; পিঁপড়াগুলার ব্যস্ততা অভিন্নভাবে মানুষের নশ্বরতারেই ফুটাইয়া তোলে।

পিঁপড়াগুলা মুখের উপ্রে হামাগুড়ি দেওয়া, প্রায়ই সিনেমার ব্যাকরণের ছাপের প্রতিনিধিত্ব করে। ভাবেন, বুনুএলের 'un chien andalou' এর হাতের পিঁপড়াগুলার কথা কিংবা ডেভিড লিন্সের ব্লু ভেলভেটের এর শুরুতে কানের কথা...ভাবেন


লেখা পাঠান- chilekothasahitto@gmail.com

মন্তব্যসমূহ

দেশসেরা বুকশপ থেকে কিনুন চিলেকোঠার বই

চিলেকোঠা বেস্ট সেলার বইসমূহ

‘নক্ষত্রের খোঁজে’ প্রতিযোগিতা ২০২২ এর নির্বাচিত বই