শহর থেকে দূরে | দেবাশিস ভট্টাচার্য
ভুবন আর আনোয়ার যখন জলডুংরি এসে পৌঁছল তখন সন্ধ্যে হব হব করছে। এক্সপ্রেসওয়ের থেকে বেঁকে জঙ্গল আর সাঁওতাল গ্রামের ভিতর দিয়ে পথ। প্রায়ই গাছের গুঁড়ির সঙ্গে ঠোকর খেয়ে, লাল মাটির ধুলোয় সারা গাড়ি রাঙা হয়ে উঠতে উঠতে, দুই বন্ধু পরস্পরকে গালি দিতে দিতে আসছিল। আনোয়ারের হাতে স্টিয়ারিং, একটু আগে একটা মেঠো হাট থেকে দুজনে সস্তা তেলেভাজা কিনে খেতে খেতে আসছে।
ভুবন পরে আছে নীল প্যান্ট, সাদা শার্ট। শার্টের কলার বড় শক্ত আর ফুলকাটা নকশা আঁকা। আনোয়ারের পরনে কালো প্যান্ট, গেরুয়া পাঞ্জাবি। কলারওলা, পুরোহাতা। তেলেভাজার তেল দুজনেরই হাতের পাতা একটু একটু চটচটে করে তুলেছে, মাঝে মাঝে ওরা হাত মুচছে চুলে বা ঘাড়ে। বেশ খানিকক্ষণ কথা কাটাকাটি করে ওরা এখন চুপ। সন্ধির মত দেখালেও আসলে ব্যাপারটা সন্ধি না, সাময়িক যুদ্ধ বিরতি মাত্র।
জলডুংরি খুব ছোট জায়গা, না শহর না গ্রাম, কিছু সরকারি বিল্ডিং আছে দুতলা একতলা, বিদ্যুৎ আছে, জল আছে, কনট্র্যাকটার আছে, যারা সরকারি বরাতে কাজ করে, দারোগা-হাকিম-উকিল-ডাক্তারও আছে। একটা ইস্কুল আছে শহরের ভিতরদিকে সেখানে ছাত্র শিক্ষক দুয়েরই অভাব, ধুঁকে ধুঁকে চলছে। অনুদান আসে, কোথায় কোন পথে চলে যায় কেউ জানে না, প্রশ্ন করে না। সাধারণ লোক বলতে হতদরিদ্র আদিবাসী, বিভূতিভূষণের আরণ্যকের পরে যাদের জীবন সত্যি সত্যি খুব একটা এগোয় নি।
ভুবন আর আনোয়ার একটা বহুজাতিক সংস্থায় কাজ করে, ভুবন পেশায় ইঞ্জিনিয়ার আর আনোয়ার কোম্পানির আইনজ্ঞ। ওরা এসেছে জামশেদপুর থেকে একটা ছোট কাজে, চার ঘণ্টা ড্রাইভ করে, লাঞ্চ করে বেরিয়েছিল। এখন একটু ক্লান্ত লাগছে, দুই বন্ধু বিরক্তি প্রকাশ করছিল একে অপরের প্রতি এই জঙ্গলে আসার উদ্যোগের জন্য, ওরা কোনও থাকার জায়গা ঠিক না করেই এসেছে। অল্পবয়স, উৎসাহ বেশি, অভিজ্ঞতা কম, যতটা ভাল লাগবে ভেবেছিল ততটা লাগেনি। ব্যাপারটা জমার আগেই কেমন ঘেঁটে যাচ্ছে বলে মনে হয়।
ওদের কোম্পানি অনেককিছুতে আছে, ষ্টীল, তামার খনি, হেভি ইনস্ট্রুমেন্টস, আরও অনেক কিছু। সম্প্রতি এই এলাকায় কিছু মাটির নিচেকার অনাবিষ্কৃত খনিজর খবর এসেছে। একটা গোপন রিপোর্ট জমা পড়েছে হেড অপিসে এম ডির দপ্তরে। রিপোর্টটা পাঠিয়েছে অনন্ত মুরমু বলে এক ব্যক্তি, নামের নিচে লেখা মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার এন্ড অ্যানালিস্ট, ঠিকানা জলডুংরি থেকে দশ কিলোমিটার দূরের একটা গ্রাম।
এখন সন্ধ্যের ঘনায়মান অন্ধকারে ক্লান্ত শরীরে সেই মুরমু’র খোঁজ করতে ইচ্ছে করছে না। এম ডি বলেছেন ভদ্রলোকের সঙ্গে দেখা করে জানতে চেষ্টা করতে খনিজের তথ্য কতটা নির্ভরযোগ্য আরও বলেছেন স্থানীয় মানুষের অবস্থা হাল হকিকত মতামত জানার চেষ্টা করতে। অর্থাৎ যদি এখানে কোম্পানি মাটির তলা থেকে খনিজ পদার্থ খুঁড়ে বের করে তাহলে এখানকার লোকজনের সমর্থন সহযোগিতা মিলতে পারে কিনা।
আনোয়ার গাড়ি দাঁড় করাল জলডুংরির তেমাথার মোড়ে একটা কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে একটা চায়ের দোকানের সামনে। ভুবনের দিকে না তাকিয়ে ভাববাচ্যে বলল - একটু চা খেলে কেমন হয়?
ভুবনের দিকে রাস্তার ধারে দোকানটা। ভুবন গলা বাড়িয়ে বলল - ও ভাই, চা হবে দুটো?
যে লোকটা চা বানাচ্ছে সে আদিবাসী নয়, বাঙালি বা বিহারি, চোখ তুলে গাড়ি দেখতে দেখতে বলল, হবে গো বাবু হবে, একটু বসতে হবে কিন্তু।
ওরা দুজন গাড়ি থেকে নেমে দোকানের কাঠের বেঞ্চিতে এসে বসল। আনোয়ার লোকটাকে বলল, এখানে রাতে থাকার কোনও হোটেল টোটেল আছে?
লোকটা বলল, যাবেন কোথায় গো?
আনোয়ার বলল, একটু ঘুরতে এসেছি, কোনও ঠিক নেই, ভেবেছিলাম ঝাড়গ্রাম চলে যাব রাত হয়ে গেল, তাই ভাবছিলাম, মহকুমা শহরে কোনও ছোটখাটো মাথা গোঁজার ঠাঁই কি আর জুটবে না?
লোকটা বলল, হোটেল একটা আছিল কিন্তু কয়েক মাস হল উঠে গেছে। আপনারা এক কাজ করেন, সরকারি বাংলায় যান। চৌকিদার আছে, শহর থেকে বাবুরা এলে ওখানেই ওঠে, দু-এক রাত জায়গা হয়ে যায়, অনেকগুলো ঘর কিনা।
তা তোমাদের বাংলোটা কোন দিকে?
লোকটা বলল, আপনারা আগে চা খান, চায়ের সঙ্গে বিস্কুট দিই বাবু? তারপর যাবেন এই তো কাছেই, বুঝায়ে দিব। কোনও চিন্তা নাই গো।
ভুবন বলল দেখলি তো? থাকার জায়গাও হয়ে গেল, আর চিন্তা কিসের? জামশেদপুরে বসে থাকলে কী হত? উইকএন্ডটাই মাটি। সেই তো সন্ধ্যে হলেই এক ক্লাব ছাড়া আর যাবার জায়গা নেই।
আনোয়ার আর ভুবন বছর খানেক হল ওখানে চাকরি করছে, অফিসার’স ক্লাব ছাড়া সন্ধ্যেগুলো কাটানোর অন্য জায়গা নেই, আনোয়ার অবশ্য ব্রিজ খেলে, ভুবন দেখে আর দু পাঁচ জনের সাথে আড্ডা দেয়। সস্তায় বিয়ার রাম জিন হুইস্কি পাওয়া যায়, খাবার দাবার পাওয়া যায়, যারা বিয়ে করেনি, পরিবার পরিজন নেই তাদের আদর্শ সময় কাটানোর জায়গা।
চায়ে চুমুক দিয়ে দুজনেরই মনটা হঠাৎ করে ভাল হয়ে গেল। দুই বন্ধু পরস্পরের দিকে তাকাল, শুধু হাসল।
লোকটা এগিয়ে এসে বলল, চা ঠিক হয়েছে স্যার?
আনোয়ার বলল, ঠিক মানে? দারুণ বানিয়েছ, তোমার নাম কি?
--- ভূষণ।
আনোয়ার হেসে ভুবনকে বলল, তোর হারানো ভাইকে খুঁজে পেলি দ্যাখ।
লোকটা কিছু বুঝতে না পেরে চেয়ে আছে দেখে বলল, এই বাবুর নাম ভুবন। তোমাদের নামের খুব মিল।
চা খেয়ে লোকটার নির্দেশমত ওরা এক কিলোমিটার মত এগিয়ে একটা বাঁধের মত জায়গায় এল। ভুবন বলল, এইবার ডানদিক দিয়ে নেমে... ঐ তো দেখা যাচ্ছে দূরে ...।
আনোয়ার দেখল, সরু রাস্তাটার ডানদিকে গড়ান বেয়ে অনেকখানি নিচে একটা জঙ্গুলে জায়গায় বাংলো মতন একটা বাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। ওখানে যাবার ভদ্রমত কোনও পথ নেই, আনোয়ার বলল, এ-তো জিপের রাস্তা, এখানে আসা যাওয়া করে কী করে?
খাওয়া হয়ে গেলে ওরা বাইরে এল জায়গাটা ঘুরে দেখবে বলে, সঙ্গে একটু সুখটান। রাত তখন কত কে জানে, আনোয়ারের জল তেষ্টা পেয়েছিল, ও উঠে টেবিলের কাছে গেল, জলের জাগটা উঁচু করে ধরে জল পান করল। খোলা জানলা দিয়ে অন্ধকার গাছপালা ঝোপঝাড় দেখা যায়, এদিকটা বাংলোর পিছনদিক। চাঁদের আলো খুব কম, দূর থেকে একটা মাটি কোপানোর শব্দ আসছে। এত রাতে কে মাটি কোপায়, কেনই বা?
খুব সাবধানে সেকেন্ড গিয়ারে গাড়ি নামান হল। বাড়িটা বড়, ছড়ান, দুটো উইং আছে, প্রতিটিতে বোধহয় চার পাঁচখানা করে ঘর। ওরা গাড়ি রেখে ভিতরে ঢুকতেই ধুতি ও ফতুয়া পরা খর্বকায় এক আদিবাসীকে দেখতে পেল। সেই নিশ্চয়ই চৌকিদার। ভুবন বলল, তুমি চৌকিদার?
--- হ বাবু। আপনারা?
--- আমরা জামশেদপুর থেকে এসেছি, রাতটা থাকতে চাই, কাল ঝাড়গ্রামের দিকে চলে যাব।
--- অ।
লোকটা স্বল্পবাক মনে হয়। চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে কিছু বলছে না।
আনোয়ার বলল, দুটো ঘর হবে তো? আর রাতের খাওয়া?
লোকটা বলল, আপনাদের পারমিট নাই? সরকারি বাংলায় থাকার পারমিট লাগে, জানেন না?
আমরা হঠাৎ করে বেরিয়ে পড়েছি, পারমিট করান হয় নি, তোমার সব ঘরই তো ফাঁকা মনে হচ্ছে, একটা রাত তো, আর ইয়ে, চিন্তা করোনা ভাই, তোমায় খুশি করে দেব।
লোকটা বলল, এক কাজ করেন বাবু বাংলা থেকে ইঞ্জিনিয়ার সাহেবকে একটা ফোন করেন, তিনি বলে দিলে আমার কুনো আপত্তি নাই।
ভুবন আর আনোয়ার চোখ চাওয়া চাওয়ি করল। এ তো আচ্ছা গেরো! আনোয়ার বলল, আচ্ছা চল, কোথায় ফোন?
বাড়িটা আধো অন্ধকার, দূরে কোথায় একটা হলদে ম্যাড়ম্যাড়ে আলো জ্বলছে তারই আলোয় একটা বড় বৈঠকখানা। পুরনো সোফা, দেয়ালে একটা আদিবাসী প্রকল্পের ছবি আগেকার কোনও মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করছেন। দূরে খাবার টেবিল ঘিরে গোটা ছয়েক চেয়ার, ভারি পরদা। ওপাশে কী আছে কে জানে।
ফোনে ওপার থেকে একটা ফ্যাসফ্যাসে গলা ভেসে এল, কে বলছেন...
আনোয়ার নিজেদের পরিচয় দিল। কোম্পানির নাম শুনে লোকটির একটু উৎসাহ বৃদ্ধি পেল মনে হয়। বলল, আজ রাতটাই তো শুধু ? কাল বিকেলে আবার মিনিস্টার আসছেন। পুলিশ সাহেব আর ম্যাজিসট্রেট সাহেবও আসবেন, আমাদের ঘর লাগবে ।
---- কোনও চিন্তা নেই কাল সকাল সকালই আমরা চলে যাব।
---- থাকেন তাহলে, আচ্ছা চৌকিদাররে দেন আমি বলে দিচ্ছি।
রাতে সত্যজিৎ রায়ের গল্পের মত রুটি, অড়হরের ডাল, মুরগির মাংস হল না। রুটি আর ঢ্যাঁড়শের তরকারি আর আচার এই দিয়ে ডিনার সারা হল। চৌকিদার পূরণ তাদের পাশাপাশি দুটি ঘর দিয়েছে। ছোট ঘর, খাট-আলমারি, টেবিল-চেয়ার, লাগা বাথরুম। লোডশেডিং হয় বলে লন্ঠন, জলের জাগ যা যা দরকার সবই আছে।
খাওয়া হয়ে গেলে ওরা বাইরে এল জায়গাটা ঘুরে দেখবে বলে, সঙ্গে একটু সুখটান। রাত তখন কত কে জানে, আনোয়ারের জল তেষ্টা পেয়েছিল, ও উঠে টেবিলের কাছে গেল, জলের জাগটা উঁচু করে ধরে জল পান করল। খোলা জানলা দিয়ে অন্ধকার গাছপালা ঝোপঝাড় দেখা যায়, এদিকটা বাংলোর পিছনদিক। চাঁদের আলো খুব কম, দূর থেকে একটা মাটি কোপানোর শব্দ আসছে। এত রাতে কে মাটি কোপায়, কেনই বা?
আনোয়ার সিগারেটের প্যাকেট নিয়ে দরজা খুলে বাইরে এল। নিশ্ছিদ্র অন্ধকার। হাস্নাহেনার গন্ধ ভাসছে হাওয়ায়। ও হেঁটে হেঁটে গেটের দিকে গেল। পিছনে ফিরে দেখল বাড়িটা অন্ধকারে ডুবে আছে। হাঁটতে হাঁটতে গেট দিয়ে বেরিয়ে মাঠের উপর দিয়ে হেঁটে চলল। একদিকে টিলার মত জমি উঠে গেছে, বড় পাঁচিলের মত দেখাচ্ছে। আনোয়ারের ঘুম চটে গেছে, মাটি কোপানোর শব্দটা কাছে আসছে মনে হয়, কেউ কি এত রাতে সত্যিই মাটি কোপাচ্ছে?
আনোয়ার একটু এগিয়ে হঠাৎ দেখল সামনে একটা বাঁধান কুয়োতলা। অন্ধকারে চোখ সয়ে গেছে। হঠাৎ করে ওর একটা অকারণ তীব্র ভয় হল, মুখ থেকে গলা অব্দি শুকিয়ে কাঠ। একটা অসম্ভব ভয় গা ছম ছম ভাব সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে। অথচ তার কোনও কারণ নেই। মাটি কাটার শব্দটা খুব কাছে কোথাও থেকে আসছে। কুয়োটা বিশহাত দূরে, হাস্নাহেনার গন্ধটাও এখানে ঘন হয়ে আছে।
যেমন এসেছিল ভয়টা তেমনি হঠাৎ করে চলেও গেল। বাঁ হাত দিয়ে কপালের ঘাম মুছে ডানহাতের প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট নিয়ে ধরাল আনোয়ার। মাটি কোপানোর আওয়াজটা হঠাৎ করে থেমে গেল। নিঃশব্দে অন্ধকার ফুঁড়ে কেউ বেরিয়ে এলো কুয়োর দিক থেকে। সিগারেটের আলোয় এক মুহূর্ত আনোয়ার দেখতে পেল তাকে। একটা রোগা লম্বা ফ্যাকাসে লোক, মুখটা ভাবলেশহীন, কাঠের পুতুলের মত, চোখের কোনও ভাষা নেই, লোকটা ওরই দিকে এক লহমা চেয়ে চোখ সরিয়ে নিল। হন হন করে হেঁটে ওকে পাশ কাটিয়ে হারিয়ে গেল পিছনের প্রান্তরে, যেদিক দিয়ে আনোয়ার এসেছিল সেদিকে।
কুয়োর সামনে এসে আনোয়ার আরেকটা জিনিস দেখল এবং অবাক হল, অন্ধকার ঢাকা একটা আউটহাউস দাঁড়িয়ে আছে খুব কাছে, কাছে গিয়ে দেখল তালা বন্ধ, ভিতরটা অন্ধকার, বাইরে একটা শিরীষ গাছ তার নিচে ছায়ামূর্তির মত কেউ আনোয়ারের দিকে পেছন ফিরে মাটি কুপিয়ে চলেছে। কিন্তু কোনও শব্দ হচ্ছে না। লোকটি একমনে একটা শাবল দিয়ে মাটি কোপাচ্ছে তার খালি গা, নিচে একটা ধুতি হাফপ্যান্টের মত লাগান, কাল বেঁটে তাগড়া চেহারা, অন্ধকারেও তার পিঠের ঘামের ফোঁটাগুলো জ্বলজ্বল করছে।
কী যে হল আনোয়ারের, সেই ভয়টা আগের চেয়েও ভয়ানক হয়ে ফিরে আসছে। এরকম ভয় সারা জীবনে বোধহয় পায় নি, তার পা ভয়ে জমে যেতে চাইছে কিন্তু কোনমতে ফিরে দাঁড়িয়ে ছুট ছুট ছুট! একদম থামল বাংলোয় এসে। পিছু ফিরে দেখল কেউ আসছে কিনা, কাউকে দেখতে পেল না, শুধু অন্ধকার নিশুতি রাত। শব্দ নেই, আলোর ফোঁটাও নেই। আনোয়ার খোলা দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকে প্রথমেই জল খেল ঢকঢক করে, তারপর দরজা বন্ধ করে খাটে শুয়ে পড়ল। তার পরে তার আর কিছু মনে নেই।
চলবে......
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন