পুড়ে যেও পাখি আমার । হাসান কামরুল
দীঘির জলের মতো চোখ মেলে তুমি
তাকিয়ে আছো আমার দিকে,
তোমার ঠোঁট কাঁপছে তিরতির,
কিন্তু তুমি কিছু বলনি।
এক উচ্ছ্বসিত বিকেল কে আমি ধীরে ধীরে
ম্লান হয়ে যেতে দেখলাম।
আমার বুকের ভেতরে তখন
বিরহ সঙ্গীত বাজে,
মাটির বুকে চলে বিচ্ছিন্ন আঁকাআকি।
চারপাশে এলোমেলো ঘুরে বেড়ানো জনতা
আড়চোখে দেখে আমাদের বসে থাকা,
আমি তখন তাকিয়ে তোমার কম্পমান ওষ্ঠাধর,
হাজারো জনতার অসম্ভব চিৎকারে কি হারিয়ে গেল
আকাঙ্ক্ষিত শব্দমালা?
আশাভঙ্গের যন্ত্রনা নিয়ে এখনো পথ চলি।
আমাদের সময় গুলো এখন ক্লান্ত
চোখের সামনে এখনো ভেসে উঠে তোমার
ভারাক্রান্ত মুখ, সেদিনের জল টলমল করা আঁখি
আমাকে দাঁড় করিয়ে দেয় নির্মম পৃথিবীর
ততোধিক নির্মম বাস্তবতায়।
আমি দুঃসময় কে সুসময়ের চাদরে বন্দি করে
নিয়ে গিয়েছিলাম তোমার কাছে, আমার রচিত
চিত্রকল্পের ক্যানভাসে
আমি তোমাকে স্পর্শ করতে পারিনি।
মাটিতে শুয়ে আমি এখনো দেখি ওপরে আকাশ,
তুমি যেন ওখানে একমাত্র চাঁদ,
আমি ওখানে তোমাকেই দেখি প্রিয়তমা।
এখানে শুয়ে আমি রচনা করি কবিতার জ্বলন্ত মশাল,
শব্দের মিসাইল, ভালবাসার অগ্নিশিখা
ওগুলো যদি তোমাকে আকাঙ্ক্ষায় আছড়ে ফেলে,
আমার বুকে এসে তবে পুড়ে যেও পাখি আমার।
লেখা পাঠান ই-মেইলেঃ chilekothasahitto@gmail.com









মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন