খন্দকার আবদুল মজিদ ও তাঁর রহস্যময় রাত | হামিদ আহসান
বিশাল শোয়ার ঘর। দরজাটা ভেজানোই ছিল। বাতিও নিভিয়ে রেখেছিলেন আগে থেকে। ভেজানো দরজাটা ঠেলে সন্তর্পণে ভেতরে ঢুকলেন খন্দকার আবদুল মজিদ। খুব সাবধানে দরজাটা বন্ধ করে দিলেন যেন কোনো শব্দ না হয়। তাপরপর লক করে দিলেন ভেতর থেকে এবং বাতি না জ্বেলে অন্ধকারেই খাটের দিকে ফিরে ফিসফিস করে বলে, জোহরা এসেছো? সাথে সাথেই খাটের দিক থেকে উত্তর আসে, হুম, এসেছি তো! তুমি এতো দেরি করলে কেন? ডিম লাইটটা জ্বালিয়ে দাও।
ডিম লাইট জ্বালিয়ে খন্দকার আবদুল মজিদ স্পস্ট দেখতে পেলেন জোহরা হাসি মুখে তার দিকেই তাকিয়ে আছে। বরাবরের মতোই ফিনফিনে সাদা একটা লম্বা জামা। মাথায় একটা সাদা পাথর বসানো মুকুট পরা। এতক্ষণে সব দুশ্চিন্তা দূর হয়ে মনটা আনন্দে ভরে উঠল। খাটে উঠে জোহরা বেগমের মুখোমুখি বসলেন তিনি।
খুশিতে আত্মহারা খন্দকার আবদুল মজিদ। তাঁর যেন কোনো হুঁশ থাকে না। জড়িয়ে ধরতে যান স্ত্রীকে। যেন মৃত স্ত্রীদের এভাবে চলে আসাটা খুই স্বাভাবিক। ত্রস্তে পেছনে চলে যান জোহরা বেগম। বলেন, তুমি বসো আমরা গল্প করি। আমি তো মৃত। আমকে ধরতে এসো না।









মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন