জলচুড়ি || হাসান কামরুল
তাৎক্ষনিক কিছু হয়নি।
তুমি এসে বসে ছিলে আমার কাছ থেকে
ইচ্ছে করলেই ছুঁয়ে দেয়া যায় এরকম দুরত্বে।
কালই প্রথম, রাতের দ্বিতীয় প্রহরে।
হল আজ
অলস দিবানিদ্রায়।
স্বপ্নে এসে হাতভর্তি জলচুড়ি বাজাতে বাজাতে
আমাকে বললে "দ্যাখতো, কেমন লাগছে?"
ঘুম ভাঙলো এক অন্যরকম আবেশে।
কানের কাছে তখনো বেজে চলেছে,
"দ্যাখতো কেমন লাগছে,
দ্যাখতো কেমন লাগছে,
দ্যাখতো কেমন লাগছে............
অথচ কাল রাতে তোমার হাতে
চুড়ি ছিল না,আমার মনে আছে।
তোমাকে একটা গল্প বলি,
অনেক আগে,আমি তখন ছোট, আমাদের
ওখানে বেদেনীরা আসতো ঝাঁকা নিয়ে
জলচুড়ি বেচতে।
নানা রঙের জলচুড়ি।
আমাদের গ্রামের মেয়েরা দলবেঁধে ওদের নিয়ে বসতো
তারপর হাতভর্তি করে চুড়ি পড়ে
রিনিঝিনি শব্দে সারা গ্রাম মাতিয়ে হেঁটে যেত
আমার খুব ভালো লাগতো
মেয়ে হয়ে জান্মাইনি বলে আমার তখন আক্ষেপ হতো।
ইশশ আমি যদি ওদের মত জলচুড়ি পড়ে
ঘুরে বেড়াতে পারতাম!!
সেই আক্ষেপ মেটাতাম ওদের পেছন পেছন হেঁটে।
জলচুড়ির প্রতি আমার সেই
ভালোলাগা এখনো আছে।
জলচুড়ি নিয়ে আমার এই ভালোলাগা
থেকে আমার বেশ কিছু কবিতা লেখা হয়েছে
আমার লেখা এরকম এক কবিতা পড়ে আমার
ভালোলাগার এক মানুষ বলেছিলো,
"আপনার ফ্যান হয়ে গেলাম হাসান ভাই।"
আমার ভালো লেগেছিল সেদিন।
যেহেতু চুড়ির ঝলক আর রিনিঝিনি আমার খুব প্রিয়,
তাই চুড়ি পড়া হাত দেখলেই আমার ছুঁতে ইচ্ছে হয়।
যদিও চুড়ির প্রতি আসক্তির এই
বাড়াবাড়ি শোভা পায় না আমাকে। তবুও আজ দুপুরের
অলস নিদ্রায় তোমার জলচুড়ি পড়ে আসায় আমার
আবার বাড়াবাড়ি করার ইচ্ছেটা জেগে উঠেছে
গরবিনী, তোমার হাতের কঙ্ক নিক্কনের চেয়ে মধুর
আর কি হতে পারে!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন