চিলেকোঠা ওয়েবজিনে প্রকাশিত সাহিত্যকর্ম ও অন্যান্য

‘মুমু’ ইভান তুর্গেনেভ


মুমু ইভান তুর্গেনেভ
সামিয়া কালাম

বাক্ স্বাধীনতা হর করা যায়, কিন্তু যার বাক্ শক্তিই নেই তার বাক্-স্বাধীনতা হর হবে কী করে? তাই হর হয় তার স্বাধীনতা। গ্রামের আলো হাওয়ায় বেড়ে ওঠা মানুষ গেরাসিম। লাঙ্গল, কাস্তে, মাঠ, ক্ষেত-খামার এই নিয়ে যে গেরসিমের দিন কাটত, তাকে তুলে আনা হল শহরে। অত্যন্ত কর্মঠ এই শক্তিশালী মানুষটি, যে কিনা একজনেই চারজনের কাজ করে নিতে পারত, তার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় ঝাঁটা আর বেলচা। নিভৃত এক গ্রাম্য চাষী হয়ে ওঠে শহুরে জমাদার। 

তথাকথিত বুর্জোয়া শ্রেণীর নিঃসঙ্গ এক বৃদ্ধার বসবাস মস্কোর উপকণ্ঠে। এই নিঃসঙ্গতাকে ঢাকতে সেই বৃদ্ধা, যাকে লেখক ‘জমিদারণী’, ‘কর্ত্রী’ আবার কখনো ‘রানীমা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। সে সর্বদা ঝি-চাকর পরিবেষ্টিত হয়ে থাকত। সেই ঝি চাকরের তালিকা দীর্ঘ। উঁচু খিলান সমৃদ্ধ ঝুল বারান্দা ওয়ালা এক প্রাসাদ প্রমাণ বাড়িতে তার ছিলঃ বাজার সরকার, ছেলে দর্জি, মেয়ে দর্জি ছুতোর, রান্নার লোক, মুচি, জমাদার, দারোয়ান, ব্যক্তিগত ডাক্তার, ধোপা এবং অনিদ্রাজনিত সমস্যায় তাকে সঙ্গ দেবার জন্য ছিল একাধিক আশ্রিতা নারী। ধোপাদেরও আবার শ্রেণি বিভাগ ছিল। একজন ছিল ভারি কাপ কাচার জন্য অপরজন চিকন বা মিহি কাপ কাচার কাজ করত। সেই জমিদারণীর জীবন-যাত্রা নিয়োগ প্রাপ্তদের তালিকা দেখেই বোঝা যায়। জমিদারণী, বোবা কালা গেরাসিমকে গ্রাম থেকে তুলে এনে তার বাড়িতে জমাদারের কাজে নিয়োগ দেয়। সে বুঝতে পারে তার পারিপার্শ্বিক পরিবর্তনশহুরে জীবনের সাথে তার নিজেকে মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়। কিন্তু সময় সব কিছুকেই সহজ করে দেয়। আর গেরাসিমও নিজের কাজে মন বসাতে পারে। তবে তার ক্ষমতার তুলনায় কাজ ছিল খুবই সামান্য। এক নিমিষেই সেই কাজগুলো সম্পন্ন করে সে নিজের মনে সময় কাটাত।

এইসব বিচিত্র মানুষের সমাগমে সেই বাড়িটি হয়ে উঠেছিল এক বিচিত্র স্থান। সম্ভবত লেখক তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নকে এই বাড়িটির স্বরূপ হিসেবে তুলে ধরেছেন, যেখানে ‘রানী মাতা’–ই দন্ড মুন্ডের কর্ত্রী। কিন্তু তার অগোচরে সকল অন্যায় এবং অনিয়ম চলতে থাকে। ধরা পড়লেই কেবল সেই অনিয়মের বিচার হয় আর আড়ালে থেকে গেলে সেটাই হয় ওঠে প্রতিনিয়ত চর্চার বিষয়। সন্ধ্যার পর যে যার মত করে নিজেদের ব্যস্ত রাখত সেই বাড়িতে। কেউ বা আড্ডায় বসত আর কেউ মদ খেয়ে চুর হয়ে পড়ে থাকত। সেরকম একজনের নাম কাপিতন ক্লিম্ভ। সেই বাড়িতে কাপিতনের দায়িত্ব ছিল মুচির। নিজেকে অত্যন্ত যোগ্যতা সম্পন্ন কেউকেটা মনে করতে,  এবং যোগ্যতার অবমূল্যায়নে দুঃখ ভুলে থাকতে নিয়মিত মদ খেয়ে মাতাল হতো। একসময় তার মাতলামী মাত্রা ছাড়িয়ে যায় এবং সে খবর রানী মাতার কর্ণ গোচর হয়। সনাতন ধর্মী চিন্তার এই বৃদ্ধা সিদ্ধান্ত নেন এই মাতালকে বিয়ে দিয়ে সংসারী করবেনতাহলেই সব সমস্যার সমাধান হবে।

এদিকে গেরাসিম সময়ের কাজ সময়ের অনেক আগেই শেষ করে নেয়আর বাকিটুকু সময় তার ভাবনায় সমাগম হয় এক নারীর। কারণ বোবা কিংবা কালা হলেও আটপৌরে জীবনের স্বাভাবিকতা গুলোর উপস্থিতি তার মাঝে ছিল। আর তাই হয়তো তার মত করেই সে ভেবে নেয় এবং ভালোবাসতে শুরু করে তাতিয়ানাকে। যদিও গেরাসিমের প্রকান্ড শরীর এবং বাক্ প্রতিবন্ধকতা দেখে তাতিয়ানা তাকে সব সময়ে এড়িয়ে চলত। কিন্তু তাতিয়ানার ভীরু আনাগোনা এবং আসহায় দৃষ্টিটাই হয়তো তাতিয়ানাকে গেরাসিমের ভালোবাসার মূল কার

মাত্র কয়েকটি অর্থহীন শব্দকে সম্বল করে গেরাসিমের দৈনন্দিন পথ চলা। সেই সব শব্দ দিয়েই সবার সাথে যোগাযোগ। তাই হয়তো কাছে পিঠে তাতিয়ানাকে দেখলে সে ব্লাউজের হাতা টেনে ধরত। সেই সব অর্থহীন শব্দ করে তার হাতে তুলে দিত একটি রঙ্গিন ফিতা। জমাদার গেরাসিম তার ভালোবাসা প্রকাশ করত তাতিয়ানার সামনের জায়গাটা ঝাঁট দিয়ে। তুচ্ছের প্রেম প্রকাশ পেত তুচ্ছাতি তুচ্ছ বিষয়ের মাধ্যমে। বেচারী তাতিয়ানা কিন্তু ভেবে পেত না কি করবে। এদিকে সহকর্মীদের ঠাট্টা তিরস্কার দিন দিন বেড়েই চলতে থাকে। গেরাসিম মনে মনে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল ভালো পোশাকটি হাতে পেলেই রানী মা’র কাছে সেটা পড়ে যাবে এবং তাতিয়ানাকে বিয়ে করার অনুমতি চাবে। কিন্তু এর আগেই রানী মা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন সেই পাঁড় মাতাল কাপিতিন ক্লিম্ভের সাথে তাতিয়ানার বিয়ে দেবে। বাজার সরকার গাভ্রিলা এই বিষয়টা নিয়ে ভাবিত থাকলেও রানীমা’র কাছে তা প্রকাশ করেনি।

এক সময় রানী মাতার সিদ্ধান্ত তাতিয়ানা এবং কাপিতানকে জানানো হয়। তারা কেউই এই সিদ্ধান্তে দ্বিমত করেনি। কিন্তু বাড়ির সকলেই চিন্তিত ছিল কেননা ক্ষেত্র বিশেষে গেরাসিম ছিল আক্রমণাত্মক।  কিন্তু সব সমস্যারই সমাধান থাকে। আর সেভাবেই এক চক্রান্তে বসে সিদ্ধান্ত হয় তাতিয়ানাকে অভিনয় করতে হবে মাতালের। কেননা গেরাসিম কোন মাতালকে সহ্য করতে পারেনা।  গেরাসিম তাতিয়ানার এই পরিবর্তন মেনে নিতে পারেনি। সে তাইয়ানাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। এবং সেই মাতালের সাথেই তাতিয়ানার বিয়ে হয়ে যায়। এতে করে কিন্তু কাপিতানের পানাভ্যাসের পরিবর্তন হয়না। সে দিনকে দিন লাগাম ছাড়া হয়ে পড়ে। রানী মাতা বিরক্ত হয়ে সেই দম্পতিকে গ্রামে পাঠিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নেন।

বিদায়ের মুহূর্তটি সবার জন্য বিষণ্ণতায় ম্রিয়মাণ। গেরাসিম তাতিয়ানাকে বিদায় জানায় একটি রুমাল তার হাতে তুলে দিয়ে। যেন এটাই তার শেষ স্মৃতির স্মারক। ঘোড়ার গাড়ির পাশে-পাশে সে খানিকটা পথ এগিয়ে দেয়। কিছুই বলতে পারেনা। এক সময় নিজের মনেই অন্য পথ ধরে। নদীর ধার ঘেঁষে সে পথ চলে গেছে বহু দূর। তখন সন্ধ্যা নামছিল। কিছু একটা অবিরত ভাবে নড়ার কারণে শান্ত নদীর বুকে তরঙ্গ উঠেছিল সেদিকে গেরাসিমের দৃষ্টি চলে যায়। সেটা ছিল একটি অসহায় কুকুরছানা। সে জলে পড়ে অসহায় ভাবে ডাকছিল। গেরাসিমের সে ডাক শোনার কথা নয়। জলে অবিন্যাস্ত তরঙ্গ দেখেই সে এগিয়ে যায় এবং অসহায় কুকুর ছানাটিকে কোলে তুলে খুব যত্ন করে কোট দিয়ে মুড়ে নিয়ে আসে তার ডেরায়।

মানুষকে কিছু একটা আঁকড়ে ধরে বাঁচতে হয়। কোনো একটা মানসিক অবলম্বনকে কেন্দ্র করে মানুষ তার দৈনন্দিনের চক্রে আবর্তিত হয়। গেরাসিম ছিল নির্বান্ধব, এবং নিঃসঙ্গ। তাতিয়ানার চলে যাওয়াটা তার কাছে ছিল আরো কষ্টের। তাই গেরাসিম সেই বোবা জানোয়ারটাকেই কেন্দ্র করে বাঁচতে শুরু করে। হয়তো সেই কুকুর ছানাটির মাঝে গেরাসিম নিজের ছায়া দেখতে পায়। অনেক যত্নে কুকুরটি ধীরে-ধীরে সুস্থ ভাবে বেড়ে ওঠে। গেরাসিম তার নাম রাখে ‘মুমু’ । বাড়ির সবাই কুকুরটিকে ‘মুমুন্য’ বলে ডাকত। আশঙ্কা নাকি ঈর্ষা বোঝা যেত না, তবে মুমুর গায়ে কেউ হাত বুলালে গেরাসিমের ভালো লাগত না। মুমু ছিল অতি উৎকৃষ্ট পাহারাদার। ঠিক যেন গেরাসিমের অনুরূপ।

প্রাত ভ্রমণের সময়ে একদিন মুমু গৃহকর্ত্রীর চোখে পড়ে। চমৎকার এবং চটপটে এই জীবটিকে রানীমা আরো একটু ভালো ভাবে দেখার জন্য গৃহের অভ্যন্তরে নিয়ে যেতে নির্দেশ দেয়। প্রভু ভক্ত মুমু কেবল গেরাসিমকেই চেনে; তাকেই ভালোবাসে এবং মান্য করে। রানীমা’র জৌলুশ এবং প্রতাপ তাকে রানীমা’র প্রতি আনুগত্য তৈরিতে বাধ্য করতে পারেনি। কেননা, মুমু একটি পশু, মুমু চাটুকারিতা বোঝেনা, মুমু জানেনা ক্ষমতার কাছে মাথা নত করতে। আর তাই সে রানীমা’র কাছে আনুগত্য স্বীকার করেনি। ফলশ্রুতিতে মুমুকে নির্বাসনের নির্দেশ দেওয়া হয়। এবং গেরাসিমের অগোচোরে মুমুকে বিক্রি করে দেওয়া হয় দূর গ্রামে। কিন্তু প্রভু ভক্ত মুমু পুনরায় ফিরে আসে। আর এই ফিরে আসাটাই কাল হয়।

মুমুর ফিরে আসা যখন রানীমা টের পেয়ে যান তখন থেকেই তাকে নিকেশের ষড়যন্ত্র আরম্ভ হয়ে যায় কর্মচারীদের মধ্যে। একটি নির্বাক প্রভুভক্ত উপকারী জীবকে হত্যা করে রানীমা’র কর্মচারীরা তাদের কর্ত্রীকে খুশি করার বাসনায় উৎসুক হয়ে ওঠে। এবং সকলের নির্দয় নিষ্ঠুরতা গেরাসিম টের পায়। সম্ভবত কথা বলতে পারে না বলে তার অনুভূতিগুলো সাধারণের তুলনায় প্রখর। তাই ভালোবাসা এবং ঘৃণা সব কিছুই সূক্ষ্ম ভাবে টের পেয়ে যেতে থাকে গেরাসিম একেক করেআর গেরাসিম সিদ্ধান্ত নেয় তার জীবনে ‘মুমু’ নামের ঘটনার ইতি সে নিজেই টানবে।

দ্যা লাস্ট সাপার’ এর মত একটি সরাইখানায় বসে সে আর মুমু শেষবারের মত খাবার গ্রহণ করে এক সাথে। মুমু তৃপ্তির সাথে বাঁধাকপিতে মাংসের সুরুয়া খায়। একটি বারে জন্য সে বুঝতে পারেনি এটাই মনিবের সাথে তার শেষ আহার। এরপর গেরাসিম তাকে নিয়ে যায় সেই নদীতে যেখানে মুমুকে সে কুঁড়িয়ে পেয়েছিল। মুমুর গলার বেল্টের সাথে দুটি প্রমাণ আকৃতির ইট বেঁধে মাঝ নদীতে গিয়ে নির্মম ভাবে ছুঁড়ে ফেলে । ছুঁড়ে ফেলার আগে মুমু এবং গেরাসিমের দৃষ্টি বিনিময়ের একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়েছেন লেখক। দুজনের দৃষ্টি জুড়েই ছিল অসহায়ত্ব। এই অসহায়ত্ব মুক ও বধির হবার, ক্ষমতার কাছে আত্মসমর্পণের এবং সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের কাছে হেরে যাবার।

সংক্ষিপ্ত কিংবা বৃহৎ কোন ঘটনা যে কোন লেখককে একটি গদ্য অথবা পদ্য সাজাতে প্রভাবিত করে। তুর্গেনেভ এর ক্ষেত্রেও এর ব্যক্তিক্রম হয়নি। ইতিহাস ঘেঁটে দেখা গেছে তার শৈশবের সাথে গেরাসিমের পরিস্থিতির বেশ খানিকটা সাদৃশ্য। রানী মাতার কঠোর নিয়ম
, পরিচালক-পরিচালিকাদের একাট্টা হয়ে মত তৈরি এবং সেই জনমতের বিপরীতে বোবা গেরাসিমের আত্মসমর্পণ এই সবকিছুই তুর্গেনেভ এর শৈশবের স্মৃতির পরোক্ষ প্রতিফলন। জানা যায় তুর্গেনেভের মা ছিলেন খুব রাশভারী প্রভাবশালী একজন নারী। যার খেয়াল-খুশির কাছে তুর্গেনেভকে বলি দিতে হয় তার নানান ক্ষুদ্রাতি-ক্ষুদ্র ইচ্ছেকে।

মুমু নভেলায় অসংখ্য চরিত্রের সমাহার ঘটেছে, এর মাঝে বেশ কিছু চরিত্রের উপস্থিতি খুবই সংক্ষিপ্ত এবং নিঃশব্দ। এই নৈঃশব্দ্য এক সাথে অনেক কথা বলে দেয়। চৈনিক দার্শনিক লাউ জু’র (Lao Tzu) নৈঃশব্দ্য নিয়ে একটা উক্তি আছেঃ “Silence is the source of great strength”। যার অর্থ দাঁড়ায়, ‘নৈঃশব্দ্যই পরাক্রমের  মূল উৎস। পরাক্রমশীল কিন্তু নিঃশব্দ একটি চরিত্র হ’ল সেই বসতিতে অবস্থানরত বৃদ্ধ নিশ্চল কুকুরটি। যাকে বেঁধে রাখা হয়। গেরাসিমের কুকুর প্রীতি থাকলেও সেই বৃদ্ধ কুকুরটির প্রতি সে কখনোই আকর্ষণ বোধ করেনা। কেন এই বৃদ্ধ নিশ্চল কুকুরটিকে তুর্গেনেভ এই লেখায় রেখেছেন? সম্ভবত এটি সমাজের পরাক্রমশীল সেই নিশ্চল নিয়ম যে নিয়মের শৃঙ্খলা থেকে বের হয়ে আসা যায় না। খুঁটির সাথে বেঁধে রাখা বৃদ্ধ কুকুরটি সেই ‘আদর্শ’ এবং ‘প্রথাকে’ চিত্রিত করছে যা কখনো পাল্টায় না।

গেরাসিম চরিত্রটি সমগ্র রচনাতে একটি কথা না বলে দম্ভ এবং ক্ষমতার দৌড়াত্ম্যকে অস্বীকার ও প্রতিবাদ করে গেছে। শক্ত-পোক্ত এই মানুষটির হৃদয় জুড়ে ছিল কোমল এক মনোভাব। তার ভালোবাসার নারীটিকে হারিয়ে সে আঁকড়ে ধরতে চেয়েছিল মুমু নামের একটি প্রাণীকে। আর এভাবেই, ইভান তুর্গেনাভের ‘মুমু’ গল্পটিতে প্রাণী প্রীতি প্রখরভাবে চিত্রিত হয়েছে। যেমনটি দেখা যায় জ্যাক লন্ডন এর ‘হোয়াইট ফ্যাং’ উপন্যাসে। যেখানে একটি উলফ জাতের কুকুর একই সাথে পর্যবেক্ষণ করে মানুষ এবং বন্য প্রাণীর নির্মমতা। অপর দিকে এরিক নাইটের ‘ল্যাসি’ নামের কুকুর চরিত্রটির মাঝে প্রকাশ পায় প্রভু ভক্তি এবং ভালোবাসা। রাফ কলি প্রজাতির কুকুর ল্যাসিকে নিয়ে রচিত গ্রন্থটির নাম ‘ল্যাসি কাম হোম’। যুগ যুগ ধরে সাহিত্যিকগণ নির্বাক প্রাণীর চরিত্রের মাধ্যমে মানুষের প্রতি তাদের বিশ্বাস ও আত্মোৎসর্গের উপাখ্যান রচনা করেছেন। সে সাথে এটাও প্রমান করতে চেয়েছেন মানুষের চেয়ে পশুর উৎকর্ষ কম নয়।
----------------------------------------------------------------------------
লেখা পাঠান- chilekothasahitto@gmail.com
----------------------------------------------------------------------------

মন্তব্যসমূহ

  1. বাহ!!! খুব সুন্দর লেখা। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

    উত্তরমুছুন
  2. ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ 😊

    উত্তরমুছুন
  3. খুব ভালো লাগলো এবং একই সাথে মনটাও খারাপ হয়ে গেলো। একটা গল্পের মত করেই পুরো রিভিউ পড়ে গেলাম। গল্পের ফাঁকে ফাঁকে মন্তব্য এবং সবশেষে বিশ্লেষণটা ছিল খুব সাবলীল। মনে হচ্ছে উপন্যাসটা না পড়েও এটা নিয়ে কোথাও খুব শক্তভাবে কথা বলার রসদ পেয়ে গেলাম। ধন্যবাদ লেখককে।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

দেশসেরা বুকশপ থেকে কিনুন চিলেকোঠার বই

চিলেকোঠা বেস্ট সেলার বইসমূহ

‘নক্ষত্রের খোঁজে’ প্রতিযোগিতা ২০২২ এর নির্বাচিত বই