চিলেকোঠা ওয়েবজিনে প্রকাশিত সাহিত্যকর্ম ও অন্যান্য

বীজ


বীজ
দেবদ্যুতি রায়


হুড়মুড়িয়ে ঘরে ঢুকেই কোণার চৌকিটার দিকে হেঁটে যায় জব্বার, তার আগে ব্যাগটা রেখে দেয় দরজার পাশে। এটুকু হাঁটতে গিয়েই ও যেন পায়ে জোর পায় না একদম। দরজার হুড়কোটা তুলে দিতেও ভুলে গেছে, আসলে এই মুহূর্তে বলতে গেলে জব্বারের কোনোকিছুই মনে নেই। একটু আগ পর্যন্ত সে মনে প্রাণে চেয়েছে এই ঘরটায় যত দ্রুত সম্ভব ফিরে আসতে আর তারপর ঘরে ফিরে প্রথমেই মনে পড়েছে এই চৌকিটার কথা। এই মুহূর্তে পুরো পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র এই অন্ধকার ঘরের অন্ধকারতম কোণের ক্যাঁচকেচে শব্দ করা চৌকিটাকেই জব্বারের নিরাপদ আশ্রয় বলে মনে হয়। যে ভয় এতটা সময় ধরে তাড়া করে ফিরছে ওকে, সেই ভয়টা, জব্বারের মনে হয় কেবল নিজের অতি পরিচিত বিছানাটাই ঘোচাতে পারে এখন।

বিছানাটা অন্য সব সময়ের মতোই আজও পরিপাটি করে গুছিয়ে রাখতে ভোলেনি লাজিনা। রোজ সকালে কাজে বেরিয়ে যাবার আগে বিছানার আধপুরনো কিন্তু পরিষ্কার কাঁথা-বালিশগুলো সুন্দর করে গুছিয়ে রাখে লাজিনা। তাদের দু’জনের সংসার এই নোংরা বস্তির এই ঘর আর লাগোয়া বারান্দাটুকুতে সীমাবদ্ধ- কিন্তু এইটুকু জায়গাকেই সবসময় ধুয়েমুছে সাজিয়ে গুছিয়ে ঝকঝকে করে রাখে ও। সংসারের সবকিছুতে লাজিনার এই রুচির ছাপটুকু জব্বারকে শান্তি দেয়। তবু আজ নিজেদের গোছানো বিছানার এক পাশে শুয়ে মাথার নিচে গার্মেন্টস তুলোর শক্ত বালিশটা রেখে সেই শান্তির ছিটেফোঁটাও খুঁজে পায় না জব্বার। মনের ভেতর গেঁথে যাওয়া ভয়টা এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে ওকে।

বুকের ভেতর ঠাঁই গেড়ে বসতে চাওয়া ভয়টা তাড়ানোর জন্য জব্বার এবার পুরো ঘটনাটা শুরু থেকে মনে করার চেষ্টা করে। ফজরের নামাজের পরপরই অন্যদিনের মতো অটোরিকশাটা নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল ও। লাজিনা তখন ঘরদোর ঝাড়ু দিয়ে বারান্দার তোলা চুলায় রান্নার জোগাড় করছিল। ভোর সময়টাতেই রান্না করে রাখতে হয় ওর, নাহলে তিনটা বাসার কাজ সেরে ফিরতে ফিরতে রান্নার দেরি হয়ে যায় অনেক। তিনটা বাসার কাজ গুছিয়ে লাজিনা ফেরে সকাল দশটার দিকে, তার একটু আগে বা পরে রিকশা নিয়ে ফিরে আসে জব্বারও। সকাল আর রাতের খাবারটা ওরা একসাথে খায়। দুপুরের খাবার সবসময় একসাথে খাওয়া হয় না ওদের, ব্যস্ততা বেশি থাকলে জব্বার অনেক সময় দুপুরে বাইরেই খেয়ে নেয়। সবসময় একটার পর একটা লাভজনক ‘ক্ষ্যাপ’ ছেড়ে দেয়ার উপায় থাকে না।

আজ রিকশা নিয়ে স্টেশনের বাইরে রেললাইনের পাশেই ও অপেক্ষা করছিল ‘প্যাসেঞ্জারের’ জন্য। সীমান্ত আজ এসেছিল প্রায় আধঘণ্টা দেরি করে। এই ট্রেনটা জব্বারের পছন্দ। কী এক অদ্ভুত কারণে ওর মনে হয় সীমান্তের যাত্রী দিয়ে বউনি করলে দিনটা ভালো যায় ওর। আর তাছাড়া সীমান্তের যাত্রীরা এমনিতেও ‘লোকাল’ যাত্রীদের মতো ভাড়া নিয়ে ঝামেলা করে না বললেই চলে।

আজও যখন সীমান্ত থেকে নেমে আসা যাত্রী দু’জনকে রিকশায় চাপিয়ে প্যাডেলে পা রেখেছিল জব্বার, ভালো বউনির কথা মনে করে মনটা বেশ ফুরফুরে ছিল। অল্পবয়সী ওই স্বামী-স্ত্রী দু’জনের গল্প শুনতে শুনতে আশ্বিন মাসের প্রথম সকালের চমৎকার ঠাণ্ডা বাতাসে রিকশা চালাতে খুব ভালো লাগছিল ওর। দু’জনের গল্প আর হাসির শব্দ জানিয়ে দিচ্ছিলো চমৎকার সুখী দম্পতি ওরা। জব্বারের তখন লাজিনার কথা মনে পড়েছিল। লাজিনা! একটু অভাব অনটন থাকলেও লাজিনা আর তার সংসারেও ভালবাসার সুখ উপচে পড়ে। দু’জনের সংসারে আরেকটা ছোট্ট মানুষকে দেখতে খুব ইচ্ছে হয় অবশ্য মাঝেমাঝে তবে ওরা দু’জনেই ভেবেছে আরও কিছুদিন যাক। মাত্র আট মাস হলো বিয়ে হয়েছে, নিজেরা আর কিছুদিন একলা সময় কাটাক। আর তাছাড়া ভবিষ্যতের কথা ভাবতে গেলে হাতে টাকাপয়সাও জমানো দরকার কিছু। জব্বার ভেবেছে সেই ছোট্ট মানুষটা যখন লাজিনার পেটে আসবে তখন থেকেই ওকে আর বাসাবাড়ির কাজ করতে দেবে না সে। লাজিনাকে মাঝেমাঝেই বলেও সেই কথা, সেই কোন দূর ভবিষ্যতের পরিকল্পনা শুনে বউটা হাসে কেবল।

ধুর! কী সব ভাবতে বসলো সে এই সকালবেলায়! পেছন থেকে যাত্রী দু’জনের সম্মিলিত হাসির শব্দে বাস্তবে ফিরে আসে জব্বার। নিজের ভাবালুতায় নিজের হাসিও পায় একটু। কী আশ্চর্য! একটু ফুরসত পেলেই সে লাজিনার কথা ভাবতে থাকে সবখানে!

লাজিনা আর অনাগত সন্তানের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে নির্ভার হয়ে রিকশা চালানোয় মন দিয়েছিল ও। আর তার পরপরই ওর কানে আসে চিৎকারটা। প্রথমে বুঝতে না পারলেও মুহূর্তের মধ্যেই জব্বার বুঝে গিয়েছিল তার রিকশার যাত্রীই চিৎকার করছে। ‘ধর, ধর, ব্যাগ’- ছেলেটা এছাড়া আর কোনো শব্দ উচ্চারণ করতে পারছিল না আর মেয়েটা তখন একেবারে নিশ্চুপ। চিৎকারে ধাতস্থ হয়ে সামনে তাকাতেই বেশ দূরে চলে যাওয়া মোটরবাইকটা নজরে এসেছিল ওর। আর অত দূর থেকেও জব্বারের চোখে পড়েছিল আরোহী দু’জনের মাঝখানে রাখা ছাই রঙের ব্যাগটা। এই ব্যাগটাই মেয়েটার হাতে দেখেছিল ও রিকশায় ওঠার সময়। কী থেকে কী হয়েছে ঠিকঠাক না বুঝলেও জব্বার এটা বুঝে যায় ব্যাগ ছিনতাই হয়েছে এইমাত্র, তার রিকশা থেকেই!

এই অটোরিকশা নিয়ে মোটরবাইকের পেছনে তাড়া করতে যাওয়া স্রেফ পাগলামি ছাড়া আর কিছু নয়। তবু ছেলেটা ওকে বলেছিল জোরে চালিয়ে সেই কাজটিই করতে। কিন্তু গল্লামারী পুলিশ ফাঁড়ির সামনে যে দু’তিনটা রাস্তা চলে গেছে দু’তিন দিকে তার কোনটা দিয়ে সেই মোটরবাইক উধাও হয়ে গেছে সেই হদিস পাওয়া তখন অসম্ভব। পুলিশ ফাঁড়ি পর্যন্ত গিয়ে ছেলেটার কী মনে হয় কে জানে, ওকে রিকশা থামাতে বলে। বোধহয় মোটরবাইক কোনদিকে গেছে বুঝতে না পেরে কিংবা ছিনতাইয়ের বিষয়ে অভিযোগ জানাতে ফাঁড়িতে যাওয়াই স্থির করেছিল ওরা। ছেলেটার পেছন পেছন নেমে গিয়েছিল বিষন্ন মেয়েটাও। ওদের দু’জনকে চরম উদভ্রান্ত লাগছিল তখন। রিকশায় ছিল তাদের কাপড়চোপড়ের নীল ট্রাভেল ব্যাগটা।

ওরা নেমে যাওয়ার সময় জব্বারের কিছু মনে হয়নি। কিন্তু একটু পরেই ভয়ের একটা চোরাস্রোত নেমে যেতে শুরু করে মেরুদণ্ড দিয়ে। ওদের কাছে সব শুনে পুলিশ যদি ওকেও ছিনতাইকারী দলের একজন মনে করে, তাহলে কী হবে ভাবতেও পারে না ও। পুলিশ সম্পর্কে পরিচিতদের যেসব অভিজ্ঞতা শুনেছে ও, সেগুলো মোটেই সুখকর কিছু নয়। অথবা রিকশার যাত্রীরাই যদি এমনটা সন্দেহ করে তার নামে অভিযোগ করে বসে তাহলে...

লাজিনার মুখটা আবার মনে পড়ে ওর। আল্লাহ্! না না! কিছুতেই বিনা দোষে হাজতে যেতে পারবে না ও। কোনোরকমে পুলিশ যদি ওকে একবার সন্দেহ করে বসে যে সে ছিনতাইকারী দলের একজন সদস্য তাহলে কিছুতেই তাদের আর সত্যিটা বিশ্বাস করাতে পারবে না ও। আর তখন...

কোনো মানুষের অবিশ্বাসের ওজন এত বেশি হতে পারে জানা ছিল না জব্বারের। লাজিনার এই সন্দেহ যেন জব্বারকে ছিঁড়িখুঁড়ে ফেলে একেবারে।চুরি করেছে ও? চুরি? যে জব্বার জীবনে কোনোদিন কারুর একটা জিনিসেও হাত দেয়নি- সেই জব্বারকে ওর নিজের বউ চোর বলে সন্দেহ করেছে? ওর মাথার ভেতরটা কেমন ফাঁকা হয়ে যেতে থাকে।সন্দেহ সংক্রামক কী না জানা নেই জব্বারের তবু এখন লাজিনার সন্দেহের বীজ যেন ওর চিন্তায় চেতনায় মিশে যেতে থাকে।

নিজের এলোমেলো চিন্তাগুলো গুছিয়ে নেবার সময় পায় না জব্বার। তার আগেই অটোরিকশায় টান মেরে সামনের ব্রিজের ওপর উঠে যায় ও। কিছুদূর যাবার পর ওর খেয়াল হয়- সর্বনাশ! রিকশায় ওদের ব্যাগটা রয়ে গেছে যে! কিন্তু তখন সাত পাঁচ চিন্তা করার সুযোগ ছিল না ওর। রাস্তাঘাটে পথচলতি মানুষ খুব একটা কম নয় তখন- রিকশা থামিয়ে একটা ব্যাগ রাস্তায় ফেলে দেয়ার ব্যাপারটা কেউ স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয়ার কথা নয়। কিন্তু যাত্রীবিহীন খালি রিকশায় একটা বড় ট্রাভেল ব্যাগ নিয়ে রিকশা চালানোও কম সন্দেহজনক নয় সেটা জানে জব্বার। তবু বাধ্য হয়ে ওকে সে পথই বেছে নিতে হয়। শর্টকাট রাস্তা ধরে কোনোরকমে বস্তির গেটে এসে একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিল সে।

পুরো ঘটনা মনে করে নিজেকে আরও বেশি করে বিধ্বস্ত লাগে ওর। ক্লান্তিতে নাকি ভয়ে, জব্বার বুঝতে পারে না, ওর দু’চোখ ঘুমে জড়িয়ে যেতে চায়।


কী ভয়ঙ্কর মারটাই না মারলো পুলিশের লোকটা! জব্বারের হাত-পায়ের চামড়া ফেটে রক্ত গড়াচ্ছে। এই মার কী করে যে ও এতক্ষণ সহ্য করলো তাই এক আশ্চর্য ব্যাপার। ব্যথায় অবশ হয়ে যেতে চাইছে পুরো শরীর। তারপর হঠাৎ করেই সেই লম্বা লম্বা শিকওয়ালা বদ্ধ ঘরটায় লাজিনা কোথা থেকে এলো কে জানে। জব্বারের ক্ষতবিক্ষত শরীরটায় সে হাত বুলিয়ে দিতেই ভোজবাজির মতো মিলিয়ে যেতে থাকলো সমস্ত ক্ষতচিহ্ন। আহ্! লাজিনার প্রতি কৃতজ্ঞতায় দু’চোখে জল আসে জব্বারের। লাজিনার দু’হাতে মুখ ডুবিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকে ও...

নিজের কান্নার দমকেই আচমকা টের পেয়ে ধড়মড় করে জেগে ওঠে জব্বার। তার মানে এতক্ষণকার ভয়াবহ মার আর তার পরের সব ঘটনাই স্বপ্ন ছিল! জব্বার শোয়া থেকে উঠে বসে। কতক্ষণ ঘুমিয়েছে ও বুঝতে পারে না।

চোখ দু’টো কচলে নিয়ে দরজার দিকে তাকিয়েই লাজিনাকে দেখতে পায় ও। সর্বনাশ! সেই অলক্ষুণে নীল ব্যাগটা খুলে ভেতরে কী করছে লাজিনা? পুলিশের ভয়, হাজতের ভয়ও এতটা বিচলিত করতে পারেনি জব্বারকে। মাথার ওপর পুরনো ফ্যানটার বাতাসেও কুলকুল করে ঘামতে শুরু করে জব্বার। মেয়েটাকে আটমাসে যতটা চিনেছে ও, তাতে করে ঘরের ভেতর আস্ত একটা কাপড়চোপড়ের ব্যাগের অস্তিত্ব বিনা প্রশ্নে মেনে নেবার মেয়ে লাজিনা নয়। ব্যাগ নিয়েওর প্রশ্নের জবাবে কী বলবে ভেবে পায় না।

বিহ্বল জব্বারকে আরও বিহ্বল করে দিয়ে লাজিনা এবার ব্যাগ রেখে এদিকে ফিরে তাকায়। তারপর ধীরেসুস্থে উঠে জব্বারের কাছে আসে। দরজার কাছে সেই নীল ব্যাগের খোলা চেইনের ভেতর থেকে এখন দু’তিন রঙের কাপড় উঁকি মারছে। জব্বারের একদম সামনে এসে লাজিনা দাঁড়ায়। “ব্যাগটা তুমি পাইলা কই”- লাজিনার প্রশ্নে জব্বারের গলার ভেতর সব কথা দলা পাকিয়ে যায়। সকালবেলার সমস্ত ঘটনা লাজিনাকে বলতে চায় ও কিন্তু গলা দিয়ে একটা আওয়াজও বের হয় না। ওকে নিরুত্তর দেখে লাজিনা আবার জিজ্ঞাসা করে- “চুরি করছো তুমি!”

লাজিনার কণ্ঠের বিস্ময় আর অবিশ্বাস একই সাথে টের পায় জব্বার। জব্বারের বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় লাজিনা ওকে চোর মনে করছে।আট মাসের সংসারে এই মেয়েটা ওর সমস্ত বিশ্বাস ওকে বিনা প্রশ্নে সমর্পণ করেছিল। সেই লাজিনা?লাজিনার চোখের দিকে তাকাতে পারে না ও। নিজের বউয়ের অবিশ্বাস আর সন্দেহের জন্য নিজের ভেতরটা আরও বেশি করে এলোমেলো হয়ে যেতে থাকে।

কোনো মানুষের অবিশ্বাসের ওজন এত বেশি হতে পারে জানা ছিল না জব্বারের। লাজিনার এই সন্দেহ যেন জব্বারকে ছিঁড়িখুঁড়ে ফেলে একেবারে।চুরি করেছে ও? চুরি? যে জব্বার জীবনে কোনোদিন কারুর একটা জিনিসেও হাত দেয়নি- সেই জব্বারকে ওর নিজের বউ চোর বলে সন্দেহ করেছে? ওর মাথার ভেতরটা কেমন ফাঁকা হয়ে যেতে থাকে।সন্দেহ সংক্রামক কী না জানা নেই জব্বারের তবু এখন লাজিনার সন্দেহের বীজ যেন ওর চিন্তায় চেতনায় মিশে যেতে থাকে।আজ সারা দিনের মধ্যে এই প্রথম ওর নিজের মনেও এক প্রশ্ন জাগে- পুলিশ ফাঁড়ির সামনে থেকে যখন এই ব্যাগসহ অটোরিকশা টান মেরে পালিয়েএসেছিল জব্বার, তখন কি শুধু বিনা অপরাধে কঠিনতম শাস্তি পাবার ভয়ই ওকে তাড়া করেছিল, নাকি মনের ভেতরের কোনো অন্ধকার কোণ থেকে জেগে উঠেছিল এতদিনকার ঘাপটি মেরে থাকা কোনো আদিম লোভের সুপ্ত পাপ?

লেখা পাঠান- chilekothasahitto@gmail.com

মন্তব্যসমূহ

দেশসেরা বুকশপ থেকে কিনুন চিলেকোঠার বই

চিলেকোঠা বেস্ট সেলার বইসমূহ

‘নক্ষত্রের খোঁজে’ প্রতিযোগিতা ২০২২ এর নির্বাচিত বই