চিলেকোঠা ওয়েবজিনে প্রকাশিত সাহিত্যকর্ম ও অন্যান্য

নিজস্বতার দরদ ও চকচকে ভার্সেস খাঁটি সোনা



নিজস্বতার দরদ ও চকচকে ভার্সেস খাঁটি সোনা
মিলু হাসান 

হুমায়ূন আহমেদ বাঙলা সাহিত্যের এক অতি জনপ্রিয় লেখকের নাম, যার কোনো কোনো কিতাব অনায়েসেই ১৫-১৬ মুদ্রণ হইয়া যাইতো এক মাসের একুশে বইমেলা চলাকালীন টাইমে। মিথ চালু আছে, এমনকি উনার 'বলপয়েন্ট ' কিতাব পড়ি জানবার পারছি যে কিতাব লেখিবার পূর্বেই এক বস্তা টাকা কিংবা গাড়ি দেখিয়ে পাবলিশরার বলতো 'স্যার এই খান আপনার জন্যি 'কিংবা এরকমটা চালু করতে তিনি বাধ্য কইরা ছিলেন। এটারে আমি বাজে হিশেবে দেখি না, বরঙ তা ভালোই, বেশ ভালো। প্রতি অমর একুশে বুক ফেয়ারে কতজন নবীন স্বপ্নবাজ পিপল রাইটার হয়ে যান -নতুন বই প্রকাশের নিমিত্তে তাহার ইয়ত্তা আমার জ্ঞাত নাহি। হুমায়ূন সাব এক ইন্টারভিউতে কইছিলেন আমারে মানুষ পড়া শুরু করে এই ভেবে যে লোকটা ভালা নাটক বানায় দেখি তো তার বহিখানা পড়ে,যদিও উনার লেখক পরিচয় মানে বই প্রকাশরে যদি ধরি তাইলে সেই ১৯৭১-৭২ সালে, মানে নাটক বানানির মেলা বছর আগে। আবার, তিনি আরো যোগ করতাছেন এই কইয়া যে নাটক যে ভালা বানাইতাম তা না, টিভি চ্যানেল একটা ছিলো সকলে বিটিভি দেখা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না। অতঃপরও আমি মনে  করি, একজন সাহিত্যিক বা সাহিত্যমনস্ক কেউ বোকা বাক্সের ভিতর কিছু তৈয়ার করিলে তাহা অন্য যে কারোর চে ভালো হইয়া থাকে। 

যাই হোক, হুমায়ূন সাব সংস্কৃতি পরিমণ্ডলে, কিতাবয়াদিতে লোকসমাজের উপর একটা প্রভাব সৃষ্টি কইরাছেন। তাহা স্বাভাবিক। কিন্তু  এখনকার প্রায় ৯৫ ভাগ নবীন লেখক মানে যদি বই প্রকাশকে লেখক হিশেবে ধরি তাইলে, উনাদের লেখার ভাষা শৈলী, কনটেন্ট এ তিনি লাব্বাইক বইলা উচ্চ আওয়াজে হাজির থাকতাছেন। উনাদেরকে আমরা 'হুমায়ূনীয় ছায়া লেখক ' বলিতে পারি। কোনো লেখকের লেখায় অন্য লেখকের প্রভাব থাকা তখনি সহীহ কিংবা ভালো ব্যাপার যখন লেখক সাহেব প্রভাব থাকার পরও তাহার বহিতে নিজের স্বকীয়তা জাহির করিতে পারিতাছেন। আজকালকার অনেক জনপ্রিয় লেখক কিংবা দীর্ঘকাল লিটারেচারে থাকা লোকসকলের অনেকেই দেখিতাছি তেনারা ও হুমায়ূন সাবের মগজ নিজের মগজ বইলা চালাইতে চাইতাছেন। ভাষা-সাহিত্য কিংবা সমগ্র শিল্প একটা পরম্পরা বিষয় হওয়াতে প্রভাব থাকা মন্দ কিছু নয়। তেমনি উদাহরণ রাখিয়া গিয়াছেন শহিদুল জহির। উনার গদ্যভাষা একই সাথে কমিউনিকেটিভ এবং নান্দনিক। যা বিরল। তিনি নিজে কহিয়াছেন তিনি 'মার্কেজ, ওয়ালীউল্লাহ্, আখরুজ্জামান ইলিয়াস, সৈয়দ হক ' তাঁদের  উপ্রে ভর করছে উনার লেখা। অতদসত্ত্বেও তেনার লেখার ভাষাশৈলি স্বকীয় মানতে বিন্দুমাত্র কনফিউজড নাই। 

আমার যতটুক ইয়াদ আছে প্যারিস রিভিউর এক সাক্ষাৎকারে হেমিংওয়ে সাব কহিয়াছিলেন তেনার লেখাতে ২৯ জন লেখকের প্রভাব রহিয়াছে। একজনের প্রভাব প্রবল কইরা থাকলে লেখক ছায়া লেখক বনে যায়। কিন্তু একাধিক লেখকের প্রভাব মৃদু কইরা থাকলে সেরকমটা ঘটে না। সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম একখানা আর্টিকেলের একটা কথা আমার বেশ মনে ধরছিলো। তিনি ইরশাদ ফরমাইতাছেন যে গল্প লেখার বা নভেল লেখা যায় দুভাবে, এক ভাষা ও গল্পের কাজ করা , দুই শুধু গল্প বলা। সাহিত্যে ভাষা ও গল্পের কাজ করিলে তারে কথাসাহিত্যিক বা লেখক বলে। মোর দেশের হালের সাহিত্যে সেরকমটা গড়ে উঠে নাই। নিশ্চয়ই চেক প্রজাতন্ত্রের মিলান কুন্ডেরা কিংবা কলম্বিয়ার মার্কেজ আমাদের কাছে পৌঁছাইছে তাহার নিজস্ব দম দিয়া, অনেকে বলে ইংরাজি কিংবা উন্নত দেশের লেখকরা ভুংভাং লেখেও ছড়িয়ে পড়ে, আমরা উন্নত দেশ কিংবা ইংরাজি লিখি না বইলা মোর দেশের লেখকদের অন্যরা পড়ে না, এসব থিকিংরে এ দুই মহারথি কষে লাথি মাইরা ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকে। কারণ তেনারা তেমন উন্নত দেশ কিংবা ইংরাজি ভাষার লেখক না। 

আমাদের দেশের কথা সাহিত্যে শুধু গল্প বলার চলটা অধিকতর লক্ষণীয়। সৈয়দ হক তাহার কিতাব 'মার্জিনে মন্তব্যে ' আমাদের জানিয়ে দিতাছেন ওহে নবীন কচি কচি স্বপ্ন লালিত লেখকগণ পৃথিবীর সব গল্পই বলা হয়ে গেছে, এখন দরকার নিজস্ব বলার ঢঙ বা শৈলি যারে কয় স্বকীয়তা। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার আমরা একই লেবুর রস অজস্রজন টিপতে টিপতে এখন আর রস বেরুয় না। শিল্পের সবচে নির্মোহ বিচার কইরা থাকে সময়। ফাস্টফুড যেমন মুখরোচক কিন্তু তা খাইয়া আপনার পেটের ক্ষিদা দূর হয় না, আপনে শেষে মোনাজাত ধরেন ভাতের কাছে। সাহিত্যে ও কিছু মুখরোচক কনটেন্ট প্রেম, মধ্যবিত্ত দুঃখের সাগরে সাগরে পরান,,,,, এতো বেশি হইছে বলার বাহিরে, কিন্তু এতকিছুর পরও এসব নিয়া নতুন কইরা কইতে পারলেও হয়। তা ও না। আমি মনে করি, পড়ার মতো বহি খুব কম, খুব কম। 

আমি শুধু বহি পড়ি বিনোদনের বা দুঃখের ডিঙি নৌকায় ভেসে একাকার কান্দি লাইচি সেজন্য নয়। তাহলে মুভি বা কৌতুক দেখি, বইই কেন? বই এর চে বেশি কিছুর জন্য পড়ি। যাই হোক, কতিপয় তরুণ টাকা কামাই, ফেমাস, সেলিব্রেটি হওয়ার জন্যি শুধুমাত্র লেখালেখির পন্থা বেছে নিলে ভুল করবেন বলে আমি মনে করি। মার্কেজ সাব কইতাছেন সাহিত্য হইতাছেন এমন জিনিশ যার জন্য জীবন আপনি দিতে পারেন কিন্তু তার কাছ থেকে কিছু আশা করিতে পারেন না। কিন্তু যুগের পর যুগ এটা প্রুফ হইয়া আসছে আপনি ভালো লিখলে তাহা এমনিতেই জুটে যায়। বদরুদ্দিন উমর সাব এক প্রবন্ধে বলতাছেন লেখালেখিতে টাকা কামাইয়ের দু'ধরনের পথ আছে। পহেলা নাম্বার, টাকার জন্য লেখা, দোসরা নাম্বার, লেখার জন্য টাকা। হেমিংওয়ে কইতাছেন লেখকরা ফেমাস হইয়া জীবন যাপনে যখন একটা পর্যায়ে নিয়া যান, তখন টাকা কামাইয়ের জন্য হালকা লেখা ও লিখেন। সে এক উভয় সংকট। এরকম সংকটে জনপ্রিয় সাহিত্যিকরা হরহামেশাই পড়ে যান মোর দেশে। অন্য দেশে তা হয় না। মোর দেশে কবিমশাই প্রত্যেক বুক ফেয়ার একটা কাব্যগ্রন্থ কিংবা ৩০-৪০ টা কাব্যগ্রন্থ না লিখলে সে কবিই না কিংবা জনপ্রিয় লেখকরা ভুরি ভুরি Goat এর লেদার মতো নভেলা বের না করলে তিনি লেখকই না। এ কালচার বড়ই ক্ষতিকর, বড়োই। তাহা বেশ পুরনো। রবি ঠাকুর সাব এই যে ২৮ খানা ট্রাকওজনসমেত খন্ড লিখিয়া অমর হইলেন তাহার কত কাব্যগ্রন্থ যে পুনরাবৃত্তিতে ভরা আল্লা মালুম। তবে রবি ঠাকুর এক পিসই, বিশাল সৃজনশীল মুগ্ধকর মানুষ। তাহার পেন্টিঙ দেখলেও মুগ্ধ না হয়ে উপায় নাই। হুমায়ুন আজাদ সাব ব্যঙ্গ কইরা এক ইন্টারভিউতে ভুরি ভুরি আর্বজনাসমেত প্রকাশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন, ড.সলিমুল্লাহ খান সাহেব ও। হুমায়ূন আজাদ স্পেনের এক লেখকের সুবিখ্যাত আর্টিকেল ' শিল্পের বিমানবিকীকরণ ' নাম দিয়া অনুবাদ করছিলেন সেই ৮৭ সনে। তাতে একটা লাইন মনের ভিতর বারে বারে বারি খায় -'শিল্পে পুনরাবৃত্তির দাম নাই। 

পপুলারিটি আসলে বেশিরভাগ আমপাবলিকের একটা অপিনিয়ন, তার মানে হইতাছে গিয়া ইহা ডেমোক্রেসি। ডেমোক্রেসি মানে হইতাছে সংখ্যার রাজত্ব, তা উন্নত রুচির পক্ষে, কল্যাণকর না ও হইবার পারে। মহামতি প্লেটো ডেমোক্রেসির ঘোর বিরুদ্ধে থাকিয়া জীবন পার করিয়াছেন। তাহার গূঢ় কারণ জগতবাসী দিনকে দিন হাড়ে হাড়ে টের  পাইয়া যাইতাছে। তাহলে ডেমোক্রেসির প্রবলেমটা আসলে কোন মোকামে! সোসাইটির বেশিরভাগ পাবলিক যদি গোমুর্খ হইয়া থাকে, স্বার্থবাজ ও বিবেকহীন হইয়া থাকে, নিম্নরুচির ও চকচকে জিনিশে তুষ্ট হইয়া যায় তাহলে সেখানে যে ডেমোক্রেসি তৈয়ার হইবে তাহা কিরূপ হইবে বুঝবার পারছেন! ডেমোক্রেসিকে পলিটিক্সের আবদ্ধ খতরনাক বস্তু ভাবিয়েন না শুধু, ইহা আপনার চর্তুদিক ঘিরিয়া আছে।  এই জগতে কিছু বিষয় রহিয়াছে যাহার ক্রিটিক করা যাইবার পারে কিন্তু তার বিকল্প রাস্তা আবিষ্কার করা বড়ই কঠিন কর্ম। সেরূপ বিষয়ের একটি ডেমোক্রেসি।

ফিলোসপার হাইডেগার কহিলেন একটা সমাজের নৈতিকতা আসলে সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকদিগের অপিনিয়ন। মানে নোংরা সমাজে ভালো কিছু ও জঘন্য হইবার পারে। অর্থাৎ ডেমোক্রেসির কালো দিক ও ভয়ংকর। এক সময় বাঙলার আমপাবলিকের বেশিরভাগ একেবারে অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকায় নারীকে রাখিয়া ছিলো স্বামীর প্রভু করিয়া, ধীরে ধীরে আধ সিকি ছটাক আলো ক্রমে আসিয়া আমপাবলিকরে হরফ শিখিয়া বিবিধ খানাখন্দ করিয়া আজ নারী কিছুটা হলেও এ সমাজে মানুষ হিসেবে গণ্য। 

তাহলে মোনাজাতের কালে বলা যায় কোনো মতার্দশ ওই সোসাইটির জন্য কতটা কল্যাণকর হইবে তাহা নির্ভর করিতেছে উক্ত সমাজের আমপাবলিকের উন্নত চিন্তা, রুচি-মেজাজ, মানসিকতার উপর।মানব সমাজে মানুষের রুচি গড়ার কারিগর এডুকেশন। এডুকেশন মানে শুধু একাডেমিক দলিল-দস্তাবেজে বন্দি না। আর এডুকেশনের কলব হইতাছে বই। বই ছাড়াও সিনেমাসহ আরো বিবিধ লাইন-ঘাটও এখন তৈয়ার হইছে শিক্ষার। মানুষের নিম্ন রুচিরে উন্নত করিবার একটা চোরাগুপ্তা কাজ করে বই। খুব নীরবে নীরবে শিরায় শিরায় বই  ভিতরে গিয়া বসিয়া থাকে। 

"pigs and poets are appreciated after death. "- Proverb

পহেলা আলাপে ফিরা যাই -ডেমোক্রেসি মানে পপুলারিটি। পপুলারিটি আপনার সব জায়গায় সে লিটারেচার থেকে ধরে আপনার পাদুকা জোড়া ক্রয় বিক্রয় অদ্যাবধি জড়িত রহিয়াছে। যখন পপুলারিটি বৃদ্ধি পেতে  থাকে তা হুজুগে হুজুগে বাড়িতেই থাকে। পপুলারিটি তখনি হয় যখন আমপাবলিকের মতের পক্ষে জিনিশটা যায়। যেহেতু লিটারেচার আমপাবলিকের মতের পক্ষে না সর্বদা তার কাম পুরানা জিনিশ ঝেড়ে ফেলে দ্রুত গতিতে এগুনো সেহেতু আমপাবলিক লিটারেচার জিনিশটাকে ধরিতে পারে না। কারণ সংখ্যাগরিষ্ঠের রুচি মেজাজ উন্নত হইয়া গেছে আমাদের সমাজে তা কল্পনা করাও কঠিন কাজ। লিটারেচার সমাজের বিপক্ষে থাকিয়া তার দেহের ক্রটি ধরে মানুষের মগজের ময়লা ঝেড়ে ফেলবে তাই স্বাভাবিক।


এখন বিশেষত লিটারেচারের প্রধান আলাপ সৃষ্টিশীলতা লইয়া তাই সেখানে পুরানা কথার স্বতন্ত্রতা থাকা জরুরি। সাহিত্যিক হওয়া মানে একেবারে নিজের মতো হওয়া ও কারো মতোন হতে না চাওয়া।এখন আমি যা কহিবার চাই ডেমোক্রেসির আঙুলের ফাঁক দিয়াই আসল লিটারেচার নতুন সময়ে আসিয়া পড়ে। সময় হচ্ছে ব্ল্যাকহোল, সব খেয়ে ফেলে সৃষ্টিশীল জিনিশ ছাড়া। যথাযথ ভাবে নয়া সাহিত্যিকের সাথে মার্চ করতে পাবলিকের মেলা সময় লাগবে। কিন্তু পুরানা জিনিশ উল্টাপাল্টা কইরা দিলে সেটাতে সহজে আমপাবলিক মিশিবার পারবে। মানে লিটারেচার ডেমোক্রেসি বিরুদ্ধ আচরণ করে প্রায়শ।কিন্তু শেষ পর্যন্ত ডেমোক্রেসি বাদ দিয়াই সে চলে সময় গেলে।

এখন অনেকে লাফ দিয়াই কইবেন বহুত ভালা জিনিশও পপুলারিটি পাইছে সমাজে। তাদের কইবো সময় লাগছে অনেক।মানে হইলো গিয়া আর্ট এন্ড লিটারেচার জিনিশটা আসলে আমপাবলিকের লগে খাপ না খাইবার বিষয়ই কারণ শিল্পী-সাহিত্যিকেরা প্রকৃতপ্রস্তাবে পূর্বের কাজরে ভেঙ্গে নয়া কাজ করেন। আর আমপাবলিক ঠিক তত অগ্রসর না, মানে আর্ট এন্ড লিটারেচারে যারা অন্যান্য বাজারি পণ্যের মতো টিকিয়ে রাখতে চান জনগণ জনগণ ঘেঁষা ঘেঁষা তাগোরে আর্ট এন্ড লিটারেচার আসলে আতশবাজির মতো অল্প কিছু মুহূর্ত জ্যান্ত রাইখা মাটিচাপা দিয়া কবর দিয়া দেয়। 

পুঁজিবাদী এ জমানায় আর্ট এন্ড লিটারেচারের  জনগণের মুখরোচক আর্ট এন্ড লিটারেচার কিছুকাল টিকায়া রাখতাছে বেপারিরা, যারা আর্ট -লিটারেচার দিয়া বিজনেস করে। যতখন না পরবর্তী মুখরোচক আর্ট-লিটারেচার না আসতাছে। তবে শেষ পর্যন্ত তা টিকতাছে না। নয়া যে কোনো জিনিশ ভোক্তাগণ সহজে গ্রহণ করবে না তাই স্বাভাবিক। আস্তে আস্তে করবে, কারণ বুঝতেও সময় লাগতাছে। 


লেখা পাঠান- chilekothasahitto@gmail.com

মন্তব্যসমূহ

দেশসেরা বুকশপ থেকে কিনুন চিলেকোঠার বই

চিলেকোঠা বেস্ট সেলার বইসমূহ

‘নক্ষত্রের খোঁজে’ প্রতিযোগিতা ২০২২ এর নির্বাচিত বই