চিলেকোঠা ওয়েবজিনে প্রকাশিত সাহিত্যকর্ম ও অন্যান্য

জাপান : রূপকথার এক ফিনিক্স



জাপান : রূপকথার এক ফিনিক্স

মূল : মওলানা ওয়াহিদুদ্দিন খান

তর্জমা : মওলবি আশরাফ

১৯৮৫ সালের ১২ অগাস্ট নিউজ উইক ম্যাগাজিনে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়, যার শিরোনাম ছিল ‘Japan : The 40-year Miracle’। রিপোর্টটিতে ১৯৪৫ সালের ধ্বংসযজ্ঞের পরে জাপান কীভাবে উঠে দাঁড়ালো, কীভাবে মাত্র চল্লিশ বছরে অকল্পনীয় উন্নতি সাধনা করল, সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে বলা হয়—The nation rose like the mythical phoenix its own ashes—এই জাতির গল্প রূপকথার ফিনিক্স পাখির মতো, যে নিজের ছাই থেকে পুনর্জন্ম নেয়।

তো কোন রহস্যবলে জাপান আজ এই অবস্থানে এসে পৌঁছালো, চলুন, তাদের কর্মনীতির ওপর একটু চোখ বুলিয়ে জেনে নিই সেই রহস্য :

বাস্তববাদী মানসিকতা

৬ অগাস্ট ১৯৪৫, এই দিন মানব ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কিত অধ্যায় রচিত হয়—পার্ল হারবারে আক্রমণের জওয়াবে আমেরিকা জাপানে পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। মুহূর্তেই জাপানের হিরোশিমা নগরী একদম ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। তারপর ৯ অগাস্ট নাগাসাকি শহরে আরেক দফা বিস্ফোরণ ঘটায়। দুটো অঞ্চলই ছিল জাপানের বাণিজ্যিক শহর। এরমধ্যে একেকটা শহর ছিল ১০ কিলোমিটারে বেশি প্রশস্ত, কিন্তু বোমা ফেলার সাথেসাথে মানুষ, জন্তুজানোয়ার, গাছপালা—সব জ্বলে ছারখার হয়ে যায়। দশ হাজার মানুষ মুহূর্তেই কয়লায় পরিণত হয়, এবং সব মিলিয়ে দুই লক্ষের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। কিন্তু জাপানিরা কি আজও সেই ক্ষোভ নিয়ে বসে আছে? যুদ্ধের সমস্ত দোষ আমেরিকার ওপর চাপিয়ে উপযুক্ত জওয়াব দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে? না। কেননা তার বিশ্বাস করে এই আক্রমণ একতরফা ছিল না, জাপানও সমান দোষে দোষী। যুদ্ধের সময় যা ক্ষতি হওয়ার হয়েছে, এখন যুদ্ধ পরবর্তীকালে তার ক্ষতিপূরণে মন দেওয়া উচিৎ। এই বাস্তববাদী কর্মনীতিই বর্তমান পৃথিবীতে জাপানিদের আজকের এই অভাবনীয় উন্নতিতে পৌঁছে দিয়েছে।

বর্তমানে হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহর দুটো আবার গড়ে তোলা হয়েছে। চওড়া সড়ক, বিশাল বিশাল অট্টালিকা, জায়গায় জায়গায় পার্ক ও উদ্যান—গোটা শহর আগের চেয়ে উন্নত করে নির্মাণ করা হয়েছে। এখন শহরে কেবল একটি বিধ্বস্ত ভবনই বাকি রাখা হয়েছে, দর্শকদের যা মনে করিয়ে দেয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই শহরের ওপর দিয়ে কী কেয়ামতই না বয়ে গেছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের (নয়া দিল্লি) সম্পাদক খুশবন্ত সিং কয়েক বছর আগে জাপান গিয়েছিলেন। তার সফরনামায় লিখেন, জাপানে গিয়ে আমি এক আশ্চর্য অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি। যখন বাকি দুনিয়া হিরোশিমা-নাগাসাকির ঘটনাকে আমেরিকার বিরুদ্ধবাদিতায় ব্যবহার করে, সেখানে খোদ জাপানবাসী আমেরিকাবিরোধী নয়। খুশবন্ত সিং তার জাপানি বন্ধুর কাছে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথমে পার্ল হারবারে হামলা করেছি, আমরা তাদের অনেক লোককে হত্যা করেছি, এর বিপরীতে তারা আমাদের সতর্ক করেছে তারা ঠিক কী করতে যাচ্ছে, কিন্তু আমরা তাদের কথা ভুয়ো মনে করেছি। তারা আমাদের ধোঁকা দেওয়ার বদলে সরাসরি আঘাত হেনেছে। আগে আমরা একে অপরের পেছনে দৌড়াতাম, এখন আমরা একে অপরের বন্ধু। (৪ এপ্রিল, ১৯৮১)

পারমাণবিক বোমায় নিহতদের যে স্মৃতি জাদুঘর, তার নাম ‘হিরোশিমা পিস মেমোরিয়াল মিউজিয়াম’, সেখানে যুদ্ধের বিধ্বংসতারও চিত্র রাখা হয়েছে। ওসব দেখতে ফি-বছর প্রায় ৭ লাখ জাপানি পর্যটক হিরোশিমায় আসে। আলাপচারিতায় বোঝা যায় সাধারণ জাপানিদের মনের গহীনে আমেরিকার প্রতি এখনও ক্ষোভ লুকিয়ে আছে, কিন্তু সেই ক্ষোভ তারা একদমই প্রকাশ করে না। তারা বিরুদ্ধবাদী আবেগের ওপর বাস্তববাদী নীতির পর্দা লাগিয়ে রেখেছে। জাপানিদের এই স্বভাবের ফলে খুব অল্পসময়েই তারা অসম্ভবকে সম্ভব করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের না তেলের খনি ছিল আর না ছিল মহামূল্য ধাতুর সম্ভার, তাদের বেশিরভাগ কাঁচামালই ভিনদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, তবু গুণগত মানের কারণে বিশ্ববাজারে তাদের পণ্যের চাহিদাই সবচেয়ে বেশি।

একতা ও বিশ্বস্ততা

খুশবন্ত সিং জানতে পারেন জাপানে উকিলদের ব্যবসা খুব একটা লাভজনক নয়। কারণ যখন দুই জাপানির  দ্বন্দ্ব হয়, তারা দ্বন্দ্ব গড়িয়ে আদালতে নিয়ে যাওয়ার বদলে নিজেরাই কথা বলে সমাধান করে নেয়। যেখানে মানুষ নিজের দোষ স্বীকার করে নেয়, সেখানে কীভাবে ঝগড়া দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে? ঝগড়া শেষ না হলে বেশিরভাগ সময় এমন হয় একজন অপরজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিতে শুরু করে, একারণে প্রতিপক্ষের মনে আরও ভয়ানক ক্রোধ জমা হয়, এবং যত সময় যায় সমস্যা কেবল বাড়তেই। কিন্তু যদি এক পক্ষ নিজের ভুল স্বীকার করে নেয়, তাহলে প্রতিপক্ষের মনেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে, আর ঝগড়া মিটমাট হয়ে যায়।

এই বাস্তবতার উপলব্ধি জাপানিদের আমূল বদলে দিয়েছে, এখন এক জাপানি অপর জাপানির ওপর নির্দ্বিধায় ভরসা করে। ভারতের মতো দেশগুলোতে ব্যবসায়ী চুক্তি ও ব্যবসা সংক্রান্ত হিশাব-নিকাশের জন্য অনেক দক্ষ লোকদের নিয়োজিত রাখা লাগে, যারা পাই-পাই লিখে রাখে। অথচ জাপানিরা এসব কাজে সময় নষ্ট করে না। আমেরিকায় যেখানে আইনবিদের সংখ্যা পঞ্চাশ হাজার, সেখানে জাপানে মাত্র এগারো হাজার। কথার শক্তি দিয়ে ধরাশায়ী করার লোক জাপানে খুব একটা কাজে লাগে না।

জাপানের অধিকাংশ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান কেবল মৌখিক চুক্তিতে কারবার করে। প্রথম প্রথম কেবল জাপানের অভ্যন্তরেই এই নীতি চলত, এখন বাহিরের মানুষও বুঝে গেছে জাপানিদের এক নীতি এক জবান, তাদের মুখের কথাতেই ভরসা করা সম্ভব। নিয়মমাফিক চলার সুবিধা হলো সব কাজ ঠিক সময়েই হয়। অযথা কথা বলার বা তাড়া দেওয়ার কোনো জরুরত পড়ে না। 

জাপানিদের এই বৈশিষ্ট্য নিজেদের মধ্যে একতা তৈরি করেছে, এবং নিশ্চিতরূপে একতাই সবচে বড় শক্তি। জনৈক জাপানবিশেষজ্ঞের জবানিতে জাপানের উন্নতির রহস্য এই : ‘পরস্পরে কখনো ঝগড়া নয়, সব কাজ মিলেমিশে করা।’ (হিন্দুস্তান টাইমস, ৪ এপ্রিল ১৯৮১)

পরোপকারী মনোভাব ও আত্মিক পরিশীলন

১৯৭০ সালে ডাক্তার আবদুল জলিল সাহেব জাপানে গিয়েছিলেন, এবং সেখানে মাস ছয়েক থাকেন। তার বাসা থেকে কর্মস্থল ছিল ট্রেনে পনের মিনিটের পথ। তো একদিন টোকিও থেকে ট্রেনে উঠেছেন, কিন্তু পনের মিনিট পার হয়ে গেলেও তার কাঙ্খিত স্টেশন এলো না। এক স্টেশনে ট্রেন থামলে তিনি বোর্ড দেখে বুঝলেন এটা অন্য স্টেশন। তিনি চিন্তায় পড়ে গেলেন, কোনো ভুল ট্রেনে উঠেননি তো? ট্রেনে তার কাছাকাছি এক জাপানি নওজোয়ান দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু সমস্যা ছিল ভাষা। ডাক্তার সাব জাপানি জানেন না, আবার ওই নওজোয়ান ইংরেজি বোঝেন না। ডাক্তার সাব কাগজে তার কাঙ্খিত স্টেশনের নাম লেখে নওজোয়ানকে দেখালেন। ট্রেন ততক্ষণে ছেড়ে দিয়েছে, যদিও প্ল্যাটফর্ম ছাড়েনি। নওজোয়ান ডাক্তার সাবের কার্ড দেখামাত্র ট্রেন থামাতে শেকল ধরে টান দেন। ট্রেন থেমে গেলে তাকে নিয়ে নওজোয়ান চলতে শুরু করেন। এরপর অন্য একটি ট্রেনে চড়ে তাকে কাঙ্খিত স্টেশনে নামিয়ে দেন। এই পুরোটা সময় ওই জাপানি নওজোয়ান তার সাথে ছিল, এবং তাদের মধ্যে ইশারায়ও একটি কথাও হয়নি।

ডাক্তার আবদুল জলিল সাহেব আরেকটি গল্প বলেন, ‘একদিন দেখি কী, দুইটা গাড়ি একটার সাথে আরেকটার টক্কর খেয়েছে। এরপর দুই গাড়ি থেকে দুই জাপানি ড্রাইভার নেমে একে অপরের সামনে মাথা ঝোঁকায়। একজন বলল, আমি ভুল করেছি আমায় করে ক্ষমা করে দিন। অপরজন বলল, ভুল আমি করেছি, আমায় আপনি ক্ষমা করুন।’

উদ্দেশ্য

১৯৩১ সালে জাপান চীনের উত্তর-পূর্ব অংশ মনচুরিয়া দখল করে নেয়, এবং সেখানে নিজেদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করে। এরপর চীন ও জাপানের সম্পর্ক খুব খারাপ হয়ে যায়। ৭ জুলাই ১৯৩৭ সালে পিকিং (বেইজিং)-এর কাছাকাছি মার্কো পোলো ব্রিজের ঘটনা ঘটে। ফলে দুই দেশের মধ্যেই উত্তেজনার আগুন ছড়িয়ে পড়ে, এবং এই যুদ্ধ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে। এই কাহিনির পর থেকে চীন ও জাপানের সম্পর্ক ছিল ঘৃণা ও শত্রুতার, কিন্তু জাপান সেখান থেকে সরে আসতে চায়। কয়েকবছর আগে চীন ও জাপানের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী জাপান চীনের মাটিতে একটি ইস্পাতের কারখানা নির্মাণ করতে পারবে, কিন্তু আচমকা চীন সরকার এই চুক্তি বাতিল করে দেয়।

চীনের নতুন প্রধানমন্ত্রী তেং শিয়াওফিং (Dèng Xiǎopíng) বর্তমানে চরমপন্থী কমিউনিস্ট মনোভাব থেকে সরে এসেছে, এবং ‘ওপেন ডোর পলিসি’ গ্রহণ করেছে। তাই জাপানের জন্য আবার চীনের মাটিতে কিছু করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। কিন্তু এই সুযোগ খুব সীমিত পরিসরে দেওয়া হয়। তবু কোনো জাপানি যদি চীনে যেতে চায়, তাকে অন্তত তিন মাস আগে প্লেনের টিকিট বুক করে রাখতে হবে, নয়তো সিট পাবে না।

চীনে ব্যবসা করার অনেক সুযোগ-সুবিধা আছে, জাপানিরা এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে চায়। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাপানিরা অতীতের সব ইতিহাস ভুলে গেছে। এক পর্যটক বলেন, জাপানিরা ঠিক করেছে চীনের পক্ষ থেকে আসা প্রত্যেকটা খোঁচা (pinpricks) তারা সয়ে নিবে, তবু ব্যবসার ক্ষেত্র হাতছাড়া করবে না। ওই পর্যটক বলেন, ১৯৮৫ সালের জুন মাসে তিনি টোকিওতে ছিলেন। একদিন চীনা রেডিও স্টেশন থেকে জানানো হলো—চীনে এমন একটি মিউজিয়াম তৈরি করা হবে যেখানে চিত্রের মাধ্যমে জাপানিদের অত্যাচার ফুটিয়ে তোলা হবে। এই মিউজিয়ামের উদ্বোধন হবে ১৯৮৭ সালে, যখন মার্কো পোলো ব্রিজের ঘটনার ৫০ বৎসর পূর্ণ হবে। জাপানিদের কাছে এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে তারা চুপ থাকেন। যখন বেশি জোরাজুরি করা হয়, তখন তারা বলে, ‘আপনি জানেন এটা আমাদের চীনা বন্ধুদের মনোযোগ ঘুরানোর ফন্দি, তারা মূলত আমাদের দৃষ্টি সরাতে চাচ্ছে।’ (টাইমস অফ ইন্ডিয়া, ১৩ জুন, ১৯৮৫)

জাপানের সামনে একটা উদ্দেশ্য ছিল, অর্থাৎ ব্যবসায় উন্নতি করা। এই উদ্দেশ্য জাপানিদের মন ও মননে কৌশলী হওয়া, সহ্য করা, এড়িয়ে যাওয়া ও প্রয়োজনমাফিক কথা বলার মানসিকতা তৈরি করেছে। এই উদ্দেশ্য তাদের অতীত ভুলিয়ে দিয়েছে, এবং যুদ্ধবিগ্রহের সমস্ত স্মৃতি কবর দিয়ে তারা উদ্দেশ্য পূরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। যারা কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করেন, তাদের চিন্তাধারা এমনই হয়। চাই তাদের সামনে ব্যবসার উদ্দেশ্য হোক অথবা অন্যকোনো উদ্দেশ্য। আর যখন কোনো দল এই বৈশিষ্ট্য ছেড়ে দেয়, এর মানে তারা উদ্দেশ্যই ছেড়ে দিয়েছে; এখন যেকোনো উদ্দেশ্যহীন কাজ অবলীলায় করতে পারবে, তাদের গায়ে বাঁধবে না।

বর্তমান সময়ে আমাদের জাতির সবচেয়ে দুর্বলতা হলো উদ্দেশ্যহীন কাজ-কারবার। আপনি যেই ময়দানেই চোখ বুলান না কেন, দেখবেন তারা দক্ষভাবে সামাল দেওয়ার যোগ্যতা রাখে না। সবজায়গায় তারা অপাঙক্তেয় প্রমাণিত হয়। এর কারণ একটাই—আমরা উদ্দেশ্যহীন জাতিতে পরিণত হয়েছি, আমাদের সামনে না দুনিয়া আছে আর না আছে আখেরাত। আমাদের দুর্বলতার এটাই একমাত্র কারণ, যদি এই কারণের রদবদল করা যায়, মানুষের মধ্যে উদ্দেশ্যের বীজ বপন করা যায়, তাহলে তারা শক্তিশালী জাতিরূপে আবার আত্মপ্রকাশ করতে পারবে। 

জাতির প্রত্যেক সদস্যকে উদ্দেশ্যময় বানাতে হবে। উদ্দেশ্য মানুষের ভেতরের শক্তিকে জাগিয়ে তুলে, এবং তাকে নতুন এক মানুষ বানিয়ে ফেলে। জাপানিদের মধ্যে এটা ছিল, তাই আজ ছাই থেকে পুনর্জন্ম নিয়ে তারা আবার আকাশে উড়তে পারছে।

(সূত্র : রাযে হায়াত। প্রকাশকাল : ১৯৮৭) 


লেখা পাঠান- chilekothasahitto@gmail.com

মন্তব্যসমূহ

দেশসেরা বুকশপ থেকে কিনুন চিলেকোঠার বই

চিলেকোঠা বেস্ট সেলার বইসমূহ

‘নক্ষত্রের খোঁজে’ প্রতিযোগিতা ২০২২ এর নির্বাচিত বই